ঢাকা : বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
তারা বলেছেন, অতীতের মতো হামলা করে মামলা দিয়ে এবারের আন্দোলন দমন করা যাবে না। বিশ্ববাসী দেখেছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাজনৈতিক কৌশল বদল করে তাদের রাজপথে মোকাবিলা করা হবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশ পথে বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ আক্রমণ, হামলা, নির্যাতন ও পাইকারি হারে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জনসমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্রিকেটের গুগলির মতো সরকার বিএনপির গুগলিতে বোল্ড আউট হয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সরকারকে একটি মেসেজ দিয়েছে, তা হলো―তোমরা অবিলম্বে গদি ছাড়ো।’
মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকটা লোককে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনেছে। একজন নাকি আমেরিকার। উনি কে? তাকে তো আমেরিকার কেউ চেনে না! গতবারও তাকে আনা হয়েছিলো। এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে আবারো নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। তবে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন চায় না। আমরাও নির্বাচন চাই। সেটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সব দল আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছি। দাবি এক দফা। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও। না হলে পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। অবিলম্বে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করুন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। হামলা, মামলা গ্রেপ্তার হয়রানি বন্ধ করুন। না হলে ফয়সালা হবে রাজপথে।
তিনি বলেন, পরিষ্কার কথা- বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান। এবার আর সেটা হবে না। দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে আর আগের মতো নির্বাচন করা যাবে না। কারা কর্তৃপক্ষ যদি জেলকোডের বাইরে কিছু করেন সবকিছুর হিসাব দেশের মানুষ বুঝে নেবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :