ঢাকা: ‘জীবন বাজি’ রেখে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে ভোট বর্জনের আন্দোলনে থাকা বিএনপি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ডাক দেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে থাকা বিএনপি ২৯ অক্টোবর থেকে মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এ দফায় তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। একই দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে এক দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই হরতালের কর্মসূচি শুরু হবে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে অজ্ঞাত স্থান থেকে ভার্চুয়ালি দলের হয়ে বক্তব্য দিয়ে আসছেন রিজভী। এদিন অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দুর্জয় গতিতে জীবন বাজি রেখে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলো করছে। বৃহস্পতিবারও নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে, সর্বান্তকরণে সার্বিকভাবে সর্বাত্মক এই হরতাল কর্মসূচি পালন করবে।’
রিজভীর ভাষ্য, ‘দেশে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মাতম আর মর্সিয়া। কান্না-আহজারির প্রতিদিনের ঘটনার বর্ণনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এক কঠিন সময় পার করছে। অনেকটা দেশ ছাড়া উদ্বাস্তুর মতো, সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব তারা।
তার অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীদের যেন মানবাধিকার থাকতে নেই। সংবিধানে যতটুকু মানবাধিকার আছে সেই অধিকার প্রয়োগেরও অধিকার নেই তাদের। হত্যা, লুণ্ঠন ও বন্দি হওয়াই যেন তাদের ভাগ্যের লিখন। রাষ্ট্র বলতেই এখন শুধুমাত্র শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের। শেখ হাসিনার নীতিই যেন-হয় আমাকে সমর্থন কর, না হলে নিশ্চুপ থাক। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর উগ্র প্রচারের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে পারবে না। লুন্ঠন আর হত্যা যেন কোন অমানবিক কাজ নয় ক্ষমতাসীনদের কাছে। শেখ হাসিনা লেলিয়ে দিয়েছেন তার পেটোয়া বাহিনীকে যারা মনে করে লুটপাট, সহিংসতা ও হত্যা যেন তাদের দলীয় কর্তব্য।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম মহাসচিব আরও অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার হাতিরঝিলের বাসা থেকে বের হওয়ার পর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ দুই ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার এবং ১৪টি মামলায় ১ হাজার ৫৩০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
ওয়াইএ
আপনার মতামত লিখুন :