ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারেক জিয়া বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে উদ্ভট আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। নিজে কেন সশরীরে উপস্থিত নেই? সাহস থাকলে আসুক। মোকাবিলা হবে রাজপথে। আন্দোলন করুন। হয় রাজপথে, নয় জেলে থাকতে হবে। বিদেশে বসে আন্দোলন হবে না।’
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে দেশের জনগণ তাদেরকেই বর্জন করা শুরু করেছে। খাজনা দেবে না, ট্যাক্স দেবে না, বিদ্যুতের বিল দেবে না, এটা কি তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি? কি ধরনের উদ্ভট, হাস্যকর কথা। মাথা খারাপ হয়েছে গেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অসহযোগ আন্দোলন করবে। বিদ্যুতের বিল না দিলে লাইন কেটে দেওয়া হবে। পানির বিল না দিলে পানিল লাইন কেটে দেওয়া হবে। খাজনা-ট্যাক্স না দিলে শাস্তি পেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করে ব্যর্থ, আন্দোলন করে ব্যর্থ। এখন তাদের সামনে আর কি আছে? তারা এই নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব আরও সংকুচিত হবে এবং অনিশ্চয়তা বাড়বে। যারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। সন্ত্রাস করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয় না।’
নির্বাচন ঠেকাতে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের কথায় সাড়া দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের আম-ছালা সব যাবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হতাশ হতে হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভোটের দিন ভোটারের স্ট্যান্ডার্ড উপস্থিতি হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি হয়, তার সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের হতাশ হতে হবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে সারা বাংলাদেশেই একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সর্বত্রই নির্বাচন নিয়ে মানুষের আলোচনা। টক অব দ্য কান্ট্রি, টক অব দ্য ভিলেজ। এখন অন্য কোনো আলোচনা তেমন একটা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ চাই। নির্বাচনকে নিয়ে কোনো সহিংসতা চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভায়োলেন্স ফ্রি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। আওয়ামী লীগ প্রার্থী সহিংসতায় জড়ালে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিলে সেক্ষেত্রে সমর্থন করবে দল।’
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :