ঠাকুরগাঁও: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ তো আর রাজনৈতিক দল নাই, এরা সম্পূর্ণভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। ওরা কোনো সংগঠন না, শক্তিশালীও না। এখন তারা রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দল চালায়, সরকার চালায়। এখন আর আওয়ামী লীগ নাই, এখন এরা পুলিশ লীগ হয়ে গেছে।’
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা বিএনপি আয়োজিত জেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম তৈমুর রহমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চুরি ছাড়া এদের কোনো কাজ নাই, সবখানে চুরি। ওই যে স্কুলের শিক্ষক বা পিয়ন নিয়োগ দেবে, হাসপাতালের কর্মচারী নিয়োগ দেবে; যেখানে যত নিয়োগ আছে ওদের টাকা লাগবেই। ব্যবসা-বাণিজ্য করবে সেখানেও টাকা লাগবে, চুরি ছাড়া কিছু নাই। চুরি করতে করতে তারা দেশটাকে ফোকরা করে দিয়েছে।’
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘অর্থনীতি শেষ, ব্যাংকগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আপনার ইমপোর্ট ভালো হচ্ছে না, এক্সপোর্টও বাড়ছে না। অর্থনীতি ধসের দিকে যাচ্ছে, অর্থনীতিবীদরা বারবার করে বলছেন, এখনো থামেন, মেগা প্রজেক্ট দিয়ে মেগা দুর্নীতি বন্ধ করেন—নাহলে এই দেশটা আর টিকবে না। যেই দেশে কোনো জবাবদিহিতা থাকে না, সেই দেশে কখনো গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা যায়, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছে, তারা একটা ফ্যাসিবাদী কায়দায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। একবার ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল একদলীয় শাসন, এখন আবার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটা করেছে নির্বাচনের ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন থাকলেই না বিরোধী দল আসবে বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আসবে, তাই নির্বাচন ব্যবস্থাই থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারও ওপর নির্ভর করে আপনারা গণতন্ত্র আনতে পারবেন না। নিজের পায়ের ওপর নির্ভর করতে হবে, নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করতে হবে—এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। ওমুক করে দেবে, তমুক করে দেবে না, আমাদের নিজেকেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে জনগণকে সঙ্গে দিয়ে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে, একটা সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া।’
রুহিয়া থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আবদুল হালিম, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :