ঢাকা: বিএনপিতে যুগ্ম মহাসচিব একটি আকাঙিক্ষত পদ। এই পদে কাজের ব্যাপ্তি অনেক। অনেকটা সংগঠনের মেরুদণ্ড বলা চলে এই পদাধিকারীদের। সম্প্রতি সাংগঠনিক পদবিন্যাসে যুগ্ম মহাসচিব পদে রদবদল আনা হয়েছে। বেশ কয়েকজন যুগ্ম মহাসচিবকে অন্যান্য পদে নিয়ে গিয়ে নতুনদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এবার যুগ্ম মহাসচিবদের জ্যেষ্ঠতা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবদের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। একই সঙ্গে যুগ্ম মহাসচিবদের পদ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্রমতে, নতুন তিনজন যুগ্ম মহাসচিব ঘোষণার সময় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠে।
শনিবারের বৈঠকে তা ঠিক করে দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সে অনুযায়ী সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্য যুগ্ম মহাসচিবরা হলেন- খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও আব্দুস সালাম আজাদ।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভীকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সব সময়ই পান নেতাকর্মীরা। এর বাইরে শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপস্থিত থাকবেন হাবিব উন-নবী খান সোহেল, রোববার ও বৃহস্পতিবার আব্দুস সালাম আজাদ, সোমবার শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মঙ্গলবার সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও বুধবার থাকবেন খায়রুল কবির খোকন। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের আরও পদচারণা বাড়বে ও নানা কর্মকাণ্ডেও আগের চেয়ে গতিশীলতা আসবে বলে মনে করছেন হাইকমান্ড। এখনো যুগ্ম মহাসচিবের দুটি পদ শূন্য রয়েছে।
এর আগে বিএনপির চার যুগ্ম মহাসচিবকে উপদেষ্টা করা হয়। তারা হলেন-মাহবুবউদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ ও আসলাম চৌধুরী।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :