ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য আইনি বিষয়টি ভালভাবে দেখে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই নেবে।
মঙ্গলবার ( ৩০ জুলাই) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা এক যৌথ সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য আইনি বিষয়টি ভালভাবে দেখে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই নেবে। যাতে কোন ফাঁক-ফোকর দিয়ে এই অপশক্তি স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোন সুযোগ না পায়।’
তিনি বলন, ‘১৪ দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত, শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনেক দিন থেকেই সে দাবি করে আসছিল অনেকে। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, পরবর্তী গণজাগরণ মঞ্চ থেকেও এই দাবি জানানো হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী কোন রাজনৈতিক দলের নির্বাচন কমিশন কতৃক নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের নাৎসি পার্টি জার্মানিতে রাজনীতি করতে পারে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে রায় আছে।’
কোটা সংস্কারে নিহতদের স্মরণ করে পালন করা শোক দিবস নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকের দিনটি ঠিক রাষ্ট্রীয় শোক দিবস নয়, এটা সরকারিভাবে শোক পালন জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় নয়।’
এসময় তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণে এই শোকের মাস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করে থাকি। এর আগেই গত ওয়ার্কিং কমিটির সভায় জাতীয় শোক দিবসে ও শোকের মাসে আমাদের কর্মসূচি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের মহানগর ও সহযোগী সংগঠন নিজেদের মাঝে সভা করে কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন। মাত্র দুই তিনটা বাকি আছে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :