পটুয়াখালী: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জামায়াত ইসলামীর কোন নেতার বিরুদ্ধে কোন সরকার এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। সৎ মানুষরাই জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় জামায়াতের কলাপাড়া উপজেলা দক্ষিণ জোনের উদ্যোগে কুয়াকাটা পর্যটন ইয়ূথ ইন চত্বরে আয়োজিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে দুর্নীতির সর্বরাজ্যে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামায়তের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার। বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করতেই ৫৭জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। কিন্তু তারা জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করতে পারেনি। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাণিজ্য লুট করে নিয়েছেন জমি দখল করেছেন এমন কোন নিকৃষ্ট কাজ নেই যা তারা করেনি। আজ বাংলার জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, সৎ মানুষ লাগবে সৎ মানুষ। চাঁদাবাজির দিন শেষ সম্ভাবনার বাংলাদেশ, দখলবাজের দিন শেষ সম্ভাবনার বাংলাদেশ।
কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ ছিলেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মুহম্মদ শাহ আলম, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম খান, অ্যাড. নাজমুল আহসান, সেক্রেটারি অধ্যাপক এ.বি.এম সাইফুল্লাহ, কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল কাইউম, সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার আমাদের প্রকাশ্যে কোনো ধরনের মিছিল-মিটিং করতে দেয়নি। তাই আমরা এই প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন করতে পেরেছি এবং আমরা সবাই মিলে একসাথে আল্লাহু আকবার ধনী উচ্চারণ করতে পাড়ছি।
কুয়াকাটায় জামায়াতের আয়োজিত প্রথমবারের কর্মী সম্মেলনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে জামায়াত-শিবিরসহ সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে দাওয়াত পেয়েছিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু ও হিন্দু নেতা। মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উত্তম মহাথের ও কুয়াকাটা সৈকতের শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল।
সভা শেষে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের ব্যবস্থাপনায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবির বিন সামাদ, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :