মহাসম্মেলনে শাপলা চত্বরে হত্যায় জড়িতদের বিচারসহ ৯ দফা দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
মহাসম্মেলনে শাপলা চত্বরে হত্যায় জড়িতদের বিচারসহ ৯ দফা দাবি

ঢাকা : তাবলীগ জামাতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যদি স্বঘোষিত আমির মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের এ দেশে আসার চেষ্টা করে তাহলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাবলীগ জামাতের একপক্ষের নেতারা। 

‘দাওয়াত ও তাবলীগ, কওমি মাদ্রাসা এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে এ কথা বলা হয়েছে। আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসম্মেলন থেকে নয় দফা দাবি ঘোষণা এবং মোনাজাতের মাধ্যমে তা শেষ হয়েছে। এতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

নয় দফা ঘোষণায় বলা হয়— তাবলীগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। ২০১৮ সালে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে সাদপন্থিদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মাওলানা সাদকে এদেশে আসতে দেওয়া হবে না। আলেমপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। কাকরাইল মসজিদ আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামের অধীনে পরিচালিত হবে এবং অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম–উলামা জড়ো হন।

সম্মেলনে শীর্ষ আলেমরা বলেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলীগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলীগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে হেফাজত আমির মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা খলিল আহমাদ কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলাম আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দিন, মাওলানা সাজিদুর রহমান, ফরিদাবাদের মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এমটিআই

Link copied!