ঢাকা: আগামী বছরের (২০২৫ সাল) শেষে দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের ধারণা নয়, সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি ধারণা দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি ধারণা নয়, নির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে।
দলটির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর জনগণের চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। তাই অতিদ্রুত সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী প্রথম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।
ড. ইউনূস তার ভাষণে বলেন, ‘আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলি সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদেরকে যদি, আবার বলছি ‘যদি’ অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :