ঢাবি : ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে এখনই যারা তাড়াহুড়ো করছেন আমি মনে করি আপনারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা ১৬ বছর ছিল না? এবার না হলে আরও ৪ বছর থাকত না?
এই সরকার দুই বছর থাকুক না, দেখি দুই বছরে কি করে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) ডাকসু হামলার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজিত প্রতিবাদসভায় এসব কথা বলেন নুর।
তিনি বলেন, সরকারের কাজের সমালোচনা করুন। প্রয়োজনে তাদের পদত্যাগ করাব কিন্তু এই সরকারের হাত দিয়েই গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে আমরা দেখি নাই।
আমরা জানি সরকারের দুর্বলতা আছে, সরকার সেগুলো মোকাবিলা করে সফল হয়ে উঠুক। সংস্কার কমিশন, প্রস্তাবনা দিয়ে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করা যায় না। কিছু ডিরেক্ট একশনে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র পুলিশের সংস্কারের কথা বলছেন। প্রশাসন, জনপ্রশাসন, নির্বাচন মানবাধিকার কমিশন এবং কি সামরিক বাহিনীরও সংস্কার দরকার। ১৬ বছরে এমন কোনও জায়গা আছে যেখানে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি? সুতরাং দেশকে একদম ঢেলে সাজাতে হবে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিলের একটি আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছিলাম। সেটাকে কেন্দ্র করেই মূলত ২০১৯ সালে ডাকসু ভবনে হামলা।
সেসময় সাদ্দাম (নিষিদ্ধ সংগঠন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) বলেছিল ভারতের ইস্যু নিয়ে কথা বইল না। তাহলে ছাত্রলীগ হামলা করবে। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমরা বিবৃতি দেব, পরিস্থিতি যাই হোক। সেদিন ছাত্রলীগের সাদ্দাম সনজিত এসে মারমুখী হয়। মারধরের বিষয়ে আমরা জানালে আরেক অপদার্থ এবং বিকৃত মস্তিস্কের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী। ফোন করার পর তিনি বলছিলেন বন্ধ ক্যাম্পাসে তুমি এখানে কি করো।
এরপর ফের বর্বর হামলা চালায় আমাদের ওপর ছাত্রলীগ। আজও তার বিচার করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আশাকরি বর্তমান সেটি দ্রুর ব্যবস্থা নেবেন।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :