ঢাকা : বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে স্লো পয়জন দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এদিন খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে সাজা অবৈধ ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। চার কর্মদিবস আপিল শুনানি শেষে আজ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, মামলার বিষয়বস্তু দেখে মনে হয়েছে, এ মামলা অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আদালত বলেন, এ রায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অপর আসামি তারেক রহমানসহ পলাতক সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হলো।
রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিচারিক আদালত সাজা দিয়ে পাঠানোর সময় বেগম খালেদা জিয়া হেঁটে কারাগারে গিয়েছেন, কারাগারে তাঁকে স্লো পয়জন করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যে কারণে কারাগার থেকে তাকে হুইল চেয়ারে করে বের করা হয়েছে। আমরা মনে করি, আজকের রায়ের পর প্রমাণিত হয়েছে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে অসৎ উদ্দেশ্যে এ মামলা দায়ের করা হয়। কারাগারে নিয়ে তাঁকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।’
আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘এ মামলায় আজ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে বেগম খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সাজা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। রায়ে আদালত বলেন, এ মামলা অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো খালেদা জিয়া ইনোসেন্ট বা নিষ্পাপ ছিলেন। বিচারিক আদালতের পর হাইকোর্টে এ মামলায় আপিল শুনানির সুযোগ না দিয়ে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেওয়া হয়, যা ছিল মহা-অন্যায়।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড ঘটাবে না। এ আদেশ মামলার অপর সব আসামির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :