ফ্ল্যাটের ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতি থেকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫: পুলিশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
ফ্ল্যাটের ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতি থেকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫: পুলিশ

ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ফ্ল্যাটে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম ওরফে তামিমকে (৩৪) হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। 

বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধের জেরে জমির মালিকের ছেলেকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম এবং জমির মালিক সুলতান আহমেদের ছেলে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান। সেখানে জানানো হয়, গতকাল ও আজ মালিবাগ ও রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আবদুল লতিফ, মো. কুরবান আলী, মাহিন, মোজাম্মেল হক কবির ও বাঁধন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা মহানগর প্রজেক্টের বক্ল-ডির নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলার করিডরে জমির মালিক, আবাসন প্রতিষ্ঠান ও ওই ভবনের আরও কয়েকজন মালিকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে হামলায় জমির মালিকের ছেলে তানজিল গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য জমির মালিক সুলতান আহমেদ প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ (প্রা.) লিমিটেড নামে একটি আবাসন নির্মাণ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুসারে জমির মালিকদের ফ্ল্যাটের অংশ বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে জমির মালিকদের ও কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ‌১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা হয়। আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।

পুলিশ ও নিহত তানজিলের পরিবার গত‍কাল জানায়, আবাসন প্রতিষ্ঠানের কর্মী, তাদের সঙ্গে আসা ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তানজিল ও তার বাবা সুলতান আহমেদের ওপর হামলা করেন। এতে তানজিলের মৃত্যু হয়।

তানজিলের মামা মাসুদ করিম গতকাল বলেন, প্লিজেন্ট প্রোপার্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ রবিউল আলম এই হত্যার নির্দেশদাতা। এ বিষয়ে কথা বলতে রবিউল আলমকে ফোন দেওয়া হয়। তবে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এআর

Link copied!