ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা হাইস্কুলের পাশের একটি বাসা থেকে বর্ষা আক্তার বিথী (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পূর্ব রামপুরা হাইস্কুল গলির ছয়তলা বাসার তিনতলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
বিথীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সি ডি খান এলাকায়। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান। বিথী ইডেন কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ করেছেন। রামপুরায় নিজের খালার সাথে থাকতেন বিথী।
রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তারেক দিপু জানান, বিকালে খবর পেয়ে রামপুরার বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই আরও জানান, ওই শিক্ষার্থী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার রুম থেকে দুটি মোবাইল পাওয়া গেছে। একটি মোবাইল থেকে ফেসবুকে লাইভ চলছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিথীর মামা আব্দুল মালেক জানান, মৃত বিথী মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার সিডিখান গ্রামের হাবিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে। বিথী ছোট থাকতেই তার বাবা মার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ছোট থেকেই রামপুরা তার খালা নাসিমা বেগমের বাসায় থাকতো। সেখানে থেকে পড়াশুনা করতো। বিথী ইডেন কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্ষ শেষ করে। মাস্টার্সে ভর্তির হওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিল। এক ভাই একবোনের মধ্যে বিথী ছিল বড়।
তিনি আরও জানান, দুপুরে বিথী দরজা বন্ধ করে তার ঘরে ছিল। তবে অনেক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা না খুলায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে তারা দেখতে পায় দরজার উপরে গ্রীলের সঙ্গে রশি ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে রশি কেটে দেয়া হয়। পরে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে বিথীকে ঘরের মধ্যে পরে থাকতে দেখে। শুক্রবার থেকে সে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, বিথীর বান্ধবীদের কাছ থেকে জেনেছি, একটি ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলেকে সনাক্ত করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :