ঢাকা : বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে বুধবার (১ নভেম্বর)। অবরোধের মধ্যে সকাল থেকে রাজধানীর সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ঢাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর রাস্তাগুলো বেশ ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। দূরপাল্লার বাসও ছাড়ছে না। প্রথম দিনে গতকাল ঢাকা থেকে সারাদেশের যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ট্রেন চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম বলে জানা গেছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সড়কে সকাল থেকেই গণপরিবহন চলাচল কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি বের করছেন না অনেকে। অবরোধের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। পরে জামায়াতও তিন দিনের অবরোধের কথা ঘোষণা করে। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এনডিএমসহ সরকার পদত্যাগের যুগপৎ আন্দোলনের সাথে যুক্ত দলগুলো অবরোধ কর্মসূচি করে।
গতকাল অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মিছিল, অবস্থান ও সংঘর্ষের কারণে আতঙ্কে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসার বাইরে বের হয়নি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পল্টনে দুপুরে আল রাজী কমপ্লেক্সে সরকারপন্থীদের একটি অংশ হামলা-ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। সকালে মাতুয়াইল ও চাঁনখার পুলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে অনেক নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়। সেখান থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
অবরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কার্যালয় ও মোড়ে মোড়ে লাঠি হাতে অবস্থান নেয়।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :