আশুলিয়া ও ধামরাই থানার কার্যক্রম শুরু

শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ ওসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪, ১২:১১ পিএম
শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ ওসি

ঢাকা : টানা ছয় দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে ঢাকা জেলার আশুলিয়া ও ধামরাই থানার কার্যক্রম। তবে এখনো চালু হয়নি সাভার মডেল থানা কাজ। চালু হলেও ধামরাই, আশুলিয়া ও সাভার মডেল থানা পুড়িয়ে দেওয়ায় এসব থানার নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।

থানা পুড়িয়ে দেওয়ায় আশুলিয়া থানা আপাতত চালু করা হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার হাজী ইসামুদ্দিন টাওয়ারে। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলো এখনো কার্যক্রম শুরুর উপযোগী হয়নি বলেও জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের মতো সাভার ও ধামরাইয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থানা তিনটিতে হামলা-ভাঙচুর, অস্ত্রলুট এবং অগ্নিসংযোগের কারণে বন্ধ হয়ে যায় থানার কার্যক্রম।

আন্দোলনের শুরু থেকে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পরও পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থীরসহ মারা যান ৭০ জন। এর মধ্যে আশুলিয়ায় এক সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শকসহ (এএসআই) মারা যান পুলিশের চার সদস্য। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম গত বুধবার সব পুলিশ সদস্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও পুলিশ সদস্যরা থানায় আসতে সাহস পাননি। পুড়ে যাওয়া এসব স্থাপনা পাহারা দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয় আনসার সদস্য।

রোববার (১১ আগস্ট) সকালে সেনাবাহিনীর পাহারায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘আমরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমাদের মনোবল দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গণ্যমান্য মানুষ, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে যতটা দ্রুত সম্ভব আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসব।’

এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘থানায় আসার পথে শিক্ষার্থীদের দেখলাম তারা সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত। এটা অভূতপূর্ব। তবে কাজটি অনেক কষ্টের এবং অমানবিক। ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ভিন্ন লেন করা এটা সত্যিই শিক্ষনীয় বিষয়। এভাবে সবাই আইন মেনে চললে এদেশে কোনো নৈরাজ্য থাকবে না।’

এমটিআই

Link copied!