ঢাকা : যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংগঠনটি এক নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ‘যেকোনো মুহূর্তে আমি খুন হতে পারি : বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে খুন, অপহরণ, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১৬ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে সাক্ষাৎকার দেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী, রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা বিদ্রোহী, জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তায় যুক্ত কর্মীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর তাদেরই সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও হুমকির ঘটনা ঘটিয়েছে। রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
বিশেষ করে শরণার্থীশিবিরে থাকা রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে এসব বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর কিছু কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ার যুক্তিসংগত ভিত্তি রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে একটা সুস্পষ্ট যোগসূত্র আছে।
ফরটিফাই রাইটস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘের ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মতো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক তানভীরুল মিরাজ রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাভিন মুরশিদ প্রমুখ।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :