মুমিন জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম

  • ধর্মচিন্তা ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
মুমিন জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম

ঢাকা : তাকওয়া আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ খোদাভীতি। পারিভাষিক অর্থে তাকওয়া হলো, আল্লাহতায়ালার ভয়ে সব ধরনের পাপকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখা। মুমিন জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।

এক. এটি এমন একটি গুণ, যে ব্যাপারে মহান আল্লাহ পূর্বাপর সব মানুষকে অসিয়ত করেছেন। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি তোমাদের পূর্ববর্তী কিতাবের অধিকারীদের এবং তোমাদের অসিয়ত করেছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।’ (সুরা নিসা ১৩১)

দুই. মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও মুসলমানদের তাকওয়ার ব্যাপারে অসিয়ত করেছেন। হজরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের তাকওয়া অবলম্বন করার ব্যাপারে অসিয়ত করছি।’ (জামে তিরমিজি)

তিন. বিদায় হজের ভাষণে হজরত রাসুল (সা.) স্বীয় উম্মতকে তাকওয়া অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করো, রমজানে রোজা রাখো, সম্পদের জাকাত আদায় করো, আমিরের আনুগত্য করো, তবেই তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের তৈরি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (জামে তিরমিজি)

চার. সব নবী-রাসুল স্বীয় উম্মতকে তাকওয়ার পথ অবলম্বন করতে অসিয়ত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘নুহ সম্প্রদায় রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল। যখন তাদের ভাই নুহ তাদের বললেন, তোমরা কি আল্লাহকে ভয় করো না? নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসুল। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।’ (সুরা শুআরা ১০৫-১০৮) এমনভাবে হজরত মুসা (আ.), হজরত শুআইব (আ.), হজরত হুদ (আ.) এবং হজরত লুত (আ.)-এর অসিয়তের কথাও পবিত্র কোরআনে বিবৃত হয়েছে।

পাঁচ. তাকওয়া পার্থিব জীবনের সর্বোত্তম পাথেয়। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো। নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম পাথেয় হলো তাকওয়া।’ (সুরা বাকারা ১৯৭)

ছয়. তাকওয়া অবলম্বনকারীরা মহান আল্লাহর বন্ধু। ইহকাল ও পরকালে তারা ভয়ভীতি ও পেরেশানি থেকে মুক্ত থাকবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘জেনে রাখো, আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় ও পেরেশানি নেই। তারা সেসব লোক, যারা ইমান আনে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সুরা ইউনুস ৬২-৬৩) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ মুত্তাকিদের বন্ধু।’ (সুরা জাছিয়া ১৯)

সাত. আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের আদেশ করেছেন, তারা যেন তাকওয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করে। তিনি বলেন, ‘তোমরা সৎকাজ ও তাকওয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে সহায়তা করো না।’ (সুরা মায়েদা ২) আল্লাহতায়ালা সবাইকে তাকওয়ার মতো মহামূল্যবান সম্পদ দান করুন।

এমটিআই

Link copied!