যেসব কারণে রোজা ভাঙে না

  • ধর্মচিন্তা ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০১:০০ পিএম
যেসব কারণে রোজা ভাঙে না

ঢাকা : রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতগুলোরও অন্যতম। রোজাকে মহান আল্লাহ নিজের দিকে সম্বোধিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মানুষের সব আমল তার জন্য; তবে রোজা ছাড়া। কেননা তা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস ৫৯২৭)

রোজার সময় সতর্ক থাকতে হয়, যেন এমন কিছু প্রকাশ না পায়— যার কারণে রোজা ভেঙে যায়। তবে কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলোর কারণে অনেকের মনে হতে পারে— রোজা ভেঙে যায়। অথচ এগুলোর কারণে রোজা ভাঙে না।

পাঠকদের জানার সুবিধার্থে বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হলো— যেগুলোর কারণে রোজা ভাঙে না।

 

# ভুল করে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না। সহ্হি বোখারি : ২৫৯

# মশা-মাছি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে না। ইবনে আবি শাইবা : ৬/৩৪৯

# অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (এমনকি মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না। জামে তিরমিজি : ১/১৫৩

# রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা স্মরণ হওয়ামাত্র পানাহার ছেড়ে দিতে হবে। সহ্হি মুসলিম : ১/২০২

# দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে পেটের মধ্যে না গেলে রোজা ভাঙবে না। ফতোয়ায়ে শামী : ৩/৩৬৭

# কোনো খাদ্যদ্রব্য বুট বা ছোট ছোলার কম পরিমাণ যদি দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে ও গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না। ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০২

# হ্যাঁ, দাঁত থেকে বের করে হাতে নিয়ে স্বেচ্ছায় খেয়ে ফেললে রোজা নিশ্চিতভাবে ভেঙে যাবে। ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২০২

# অতিরিক্ত গরম বা পিপাসার কারণে যদি গোসলের মাধ্যমে শরীরকে ঠাণ্ডা করা হয়, তাহলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৩

# কুলি করার পর পানির অবশিষ্ট আর্দ্রতা থুথুর সঙ্গে গিলে ফেললে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৩

# ঘাম অথবা চোখের অশ্রুর দু-এক ফোঁটা যদি অনিচ্ছায় মুখে চলে যায়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৩

# কানের ময়লা বাইর করার দ্বারাও রোজা ভাঙবে না। মারাকিল ফালাহ : ৩৪২

# যদি পান খাওয়ার পরে খুব ভালোভাবে কুলি করার পরও রোজা অবস্থায় থুথুর সঙ্গে লাল রং বের হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৩

# নাক এত জোরে সাফ করা, যার ফলে কফ গলার মধ্যে চলে যায়, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। দুররে মুখতার : ৩/৩৭৩

# রোজা অবস্থায় আঁতর বা ফুলের ঘ্রাণ নিলেও কোনো সমস্যা নেই। মারাকিল ফালাহ : ৩৬১

# শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে না, বরং তা বৈধ। মুসান্নাফে আব্দুর রাজজাক : ৪/৩১৩

# রোজা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃত মুখের মধ্যে ধুলাবালি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না। দুররে মুখতার : ৩/৩৬৬

# যদি রোজাদারের গোসলের সময় অথবা বৃষ্টিতে ভেজার সময় কানের মধ্যে অনিচ্ছায় পানি চলে যায়, তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে রোজা নষ্ট হবে না। ফাতহুল কাদির : ২/৩৪৭

# সুস্থ অবস্থায় রোজার নিয়ত করার পর যদি অজ্ঞান, অচেতন বা পাগল হয়ে যায়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। সুনানে কুবরা বায়হাকি : ৪/২৩৫

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!