ঢাকা : সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। মহান আল্লাহ তার মধ্যে যাবতীয় উত্তম গুণাবলির সমাহার ঘটিয়েছেন। তাকে করেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তার জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গে আমাদের জন্য রয়েছে উত্তম শিক্ষা। একমাত্র তার আদর্শ অনুসরণ করে মহান আল্লাহর ইবাদত করতে পারলেই আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি মিলবে। তার বিশেষ কয়েকটি গুণাবলি উল্লেখ করা হলো।
সত্য ও ন্যায়বিচারের আদর্শ : হজরত রাসুল (সা.) সর্বদা সত্য কথা বলার, ন্যায়বিচার করার এবং নির্যাতিতদের সাহায্য করার আহ্বান জানাতেন। মক্কায় যখন নির্যাতন চলছিল, তখনো তিনি অন্যায়কে সমর্থন করেননি। তার চরিত্রের এমন নির্ভীকতা এবং ন্যায়পরায়ণতা তাকে সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও শ্রদ্ধাভাজন করে তুলেছিল।
সহানুভূতি ও ক্ষমাশীলতা : হজরত রাসুল (সা.) সবসময় তার শত্রুদের ক্ষমা করার আদর্শকে সামনে এনেছেন। মক্কা বিজয়ের সময় তিনি তার সব শত্রুকে ক্ষমা করে দেন, যা মানবতার ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এটি ক্ষমা ও সহানুভূতির একটি চমৎকার উদাহরণ।
সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ : হজরত রাসুল (সা.) মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করেছেন। জাতি, বর্ণ, ধনী-গরিব ইত্যাদি শ্রেণি ভেদাভেদ না করে তিনি মানুষের মধ্যে সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো আরবের ওপর কোনো অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। আর কোনো শ্বেতাঙ্গের ওপর কোনো কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই।
সহনশীলতা ও ধৈর্য : হজরত রাসুল (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সবসময় ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তার সহনশীলতা একটি আদর্শ উদাহরণ, যা কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষকে ধৈর্য ধারণ করতে সাহায্য করে।
হজরত রাসুল (সা.) শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি আলোকবর্তিকা হয়ে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। তার শিক্ষা ও চরিত্র যেকোনো সমাজের জন্য শান্তি, ন্যায়, ও মানবতার দৃষ্টান্ত। তাই দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের করণীয় হলো, আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রে তার আদর্শের অনুসরণ করে মহান আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করা। তাহলে মহান আল্লাহ আমাদের ইবাদত-বন্দেগি কবুল করবেন এবং রাসুল (সা.) পরকালে আমাদের জান্নাতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন। আমরা রাসুল (সা.)-এর সুপারিশ লাভ করতে পারি, মহান আল্লাহ আমাদের সেই তওফিক দান করুন। আমিন।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :