ঢাকা: দেশের প্রায় প্রতিটি খাতই এখন প্রযুক্তিনির্ভর। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রসারের প্রায় পুরোটাই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ভর। গণমাধ্যম, ই-কমার্স কিংবা যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে।
প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে অনেকের পক্ষেই ডিজিটাল মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি সম্ভব হয় না। যদিও কেউ কেউ নিজস্ব জনবল নিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেন। এতে অফিস ভাড়া, কর্মীর বেতনের মতো অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের বিষয় থাকে। এরপরেও দেখা যায়, মানসম্মত কন্টেন্ট বা পরিকল্পনার অভাবে এই ব্যয় অপচয় হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সহায়ক হতে পারে “ডিসেলস”।
রোববার (১২ মে) বিশ্ব মা দিবসে সব মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে যাত্রা শুরু করল “ডিসেলস”।
“ওয়ানস্টপ সলিউশন, থিঙ্ক ডিফ্রেন্ট” স্লোগানকে ধারণ করে পথচলা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্লায়েন্টদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সব ধরনের ডিজিটাল সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ “ডিসেলস”।
বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারিং, বিভিন্ন আইডিয়া তৈরি করে ব্যবসার প্রসারে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। আর এসব সেবা দেওয়ার জন্য “ডিসেলস”-এর রয়েছে চারটি উইং। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে-
অ্যাড নেটওয়ার্ক: ডিসেলসে রয়েছে একটি অ্যাড নেটওয়ার্ক। এতে একসঙ্গে ৩০,০০০-এর বেশি ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং গেমসে বিজ্ঞাপন চালানোর সুবিধা রয়েছে। সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক ক্রিয়েটিভ তো রয়েছেই। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের পছন্দের ও কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বিজ্ঞাপনগুলো সঠিক জায়গায় পৌঁছানো এবং ক্লায়েন্টদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করাই এই উইংয়ের লক্ষ্য।
গ্রিন: ক্রিয়েটিভ, স্ট্রাটেজি, মিডিয়া বায়িং থেকে শুরু করে যে কোনো ব্র্যান্ডকে অনলাইনে প্রচার করার সব থেকে বড় মাধ্যম এটি। আর এই কাজগুলো সুচারুভাবে সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের পণ্য বা ব্র্যান্ডকে ডিজিটাল মাধ্যমে সবার কাছে আকষর্ণীয় করে তুলবে টিম গ্রিন। নতুন আইডিয়া এবং সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে কাজ করা গ্রিনের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
আমব্রেলা: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের এই মার্কেটিংয়ের অসংখ্য সুবিধা ও কার্যকারিতার জন্য ব্র্যান্ড প্রচারণার অন্যতম একটি কৌশল হয়ে উঠছে।
এর আওতায় দেশের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সর, বিভিন্ন অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে ক্লায়েন্টদের যোগাযোগ স্থাপন ও তাদের নিয়ে কন্টেন্ট নির্মাণ, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোম্পানির হয়ে তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করার কাজগুলো করে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করার কাজটিই করবে আমব্রেলা।
লাইটহাউস: ডিসেলসের আরেকটি প্রতিষ্ঠান লাইট হাউস। ব্র্যান্ডের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন ও ব্যতিক্রমী ভিডিও কনটেন্ট বানানো, তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনিটাইজ করা, বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোমাধ্যমগুলোকে দেখভাল করা এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব প্লাটফর্ম থেকে রেভিনিউ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা “লাইট হাউস”-এর মূল কাজ।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :