ফিরে দেখা-২০২৪

বিএনপির পালে হাওয়া, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই ক্ষমতার মসনদ

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
বিএনপির পালে হাওয়া, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই ক্ষমতার মসনদ

ঢাকা: ২০২৪ সাল জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন থেকে মুক্তির বছর বিএনপির। ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানিয়ে রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোরও বছর বলছে দলটি। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের রেখে স্বৈরাচার তকমা পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যান ভারতে। এতে রাতারাতি পাল্টে যায় বিএনপির ভাগ্য। 

৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্তি পান দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান নেওয়া দলটির নেতাকর্মীরাও দেশে ফিরতে থাকেন। দীর্ঘদিন আন্দোলনে থাকা দলটির পছন্দের লোকজন দায়িত্ব পান রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। 

বলা যায়, আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিএনপি। সব মিলিয়ে অসাধারণ ও অকল্পনীয় একটি বছর পার করছে দলটি।

এ ছাড়া আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির নেতারা। প্রতিদিনই কেন্দ্র থেকে জেলায় কোথাও না কোথাও হচ্ছে সভা-সমাবেশ। 

এর ফলে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলটির পালে হাওয়া লেগেছে। তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাঠের রাজনীতিতে। তবে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে দলটির সামনে এখনো রয়েছে নানামুখী চ্যালেঞ্জ। 

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের ব্যাপ্তি আরো বড় হতে পারে বলে শঙ্কা বাড়ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি এখন সংগঠন গুছিয়ে নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তবে বিগত দিনে দেওয়া ৩১ দফার রূপরেখা যে কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করতে হবে কাজের মাধ্যমে। তাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলো নতুন আঙ্গিকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। বলা চলে বিএনপির এখন সম্ভাব্য সুদিন। একই সঙ্গে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ায় চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েছে তারা। বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল। তারা অতীতেও ক্ষমতায় ছিল। আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষ কে হবে, সেই প্রস্তুতি তাদের নিতে হবে। আর নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের ভেতর দিয়েই বিএনপিকে তার রাজনীতির কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।

যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবে বলে আশা করছে দলটি। তবে উপদেষ্টাদের নানা রকম বক্তব্যে দ্বিধায় পড়েছে দলটি। 

সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষ নেই এটি ভাবা যাবে না; অতীতের যেকোনো নির্বাচন থেকে এই নির্বাচন হবে অনেক কঠিন। তাই নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে। নেতাকর্মীদের ৩১ দফার পক্ষে জনসমর্থন নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। জনগণের মন জয়ের জন্য কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে দলটি। 

নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করতে পারাকে ২০২৪-এর বড় অর্জন হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটির নেতাদের মতে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নতুন বছরে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে চান বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। গত দেড় দশক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এক দফা আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকে কারাগাভোগ ও আত্মগোপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২০২৪। জনগণকে সাথে নিয়ে সাত জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের ভোট বর্জনে সফল হয় বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দল ও সংগঠনে ভাঙনের চেষ্টা বিফল করে দেওয়া আরেকটি বড় অর্জন বলে মনে করছে দলটি। একতরফা ডামি ভোটে আবারও জনগণের ওপর স্বৈরতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়া শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে ব্যস্ত সময় কাটায় বিএনপি। কোটা বাতিলের দাবিতে যখন গোটা জাতি এক, তখন তাদের পাশে থেকে সমর্থন দেয় বিএনপি। জুন মাসে শুরু হওয়া আন্দোলন উত্তাল হয় জুলাইয়ে। 

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় ষোলো বছরের স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শাসনের। যে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল বলে দাবি বিএনপি নেতাকর্মীদের। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে গণমাধ্যমে ভেসে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গণআন্দোলনে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ৭ আগস্ট বক্তব্য দেন তিনি। দীর্ঘ এক যুগ পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অংশ নেন সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে। 

প্রভাবমুক্ত আইনি প্রক্রিয়ায় একে একে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে শুরু করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা জনগণের কাছে তুলে ধরতে সারা দেশে কর্মশালা, সভা-সেমিনারের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারেক রহমান। বিদায়ি বছরের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি কাটিয়ে নতুন বছরে প্রত্যাশিত ভোটের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তাদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে মাঠে থাকতে চান দলটির নেতাকর্মীরা। 

দলটির নেতারা বলছেন, সমমনা দলগুলোকে নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের নতুন প্রস্তাব দিয়ে দেশি-বিদেশিদের আস্থা অর্জনে তারা আশাবাদী। একই সঙ্গে তারা দলকে সুসংগঠিত করে নতুন সব চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করবেন। আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসবেন।

১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমবার সংকটে পড়েছিল বিএনপি। আশির দশকে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর দ্বিতীয়বার গভীর সংকটে পড়ে দলটি। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়াসহ বিপুলসংখ্যক শীর্ষনেতা কারাবন্দি হলে দলটি তৃতীয় দফা নেতৃত্ব সংকটে পড়ে। তিনবারই ভাঙনের মুখে পড়েছিল দলটি। তবে এবার তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি সুশৃঙ্খলভাবে সংগঠিত হয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে কারাগারে পাঠানো হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তারপর বিভিন্ন সময় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও শর্ত অনুযায়ী তাকে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। প্রায় সাত বছর পর গত ৭ আগস্ট বিএনপির জনসভায় খালেদা জিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং বক্তব্য প্রচার করা হয়। আর এক যুগ পর গত ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসে যোগ দেন তিনি।

আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী একটি রিট দায়ের করেন। পরের দিন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। তারেক রহমানের সব ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছরের আগস্টে রিট আবেদনকারী সম্পূরক আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ আগস্ট এক আদেশে হাইকোর্ট তারেক রহমানের বক্তব্য, বিবৃতি, অডিও ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের কিছুক্ষণ পর গণমাধ্যমগুলো তারেক রহমানের বক্তব্য ও ভিডিও প্রচার শুরু করে। ফলে প্রায় ১০ বছর পর গণমাধ্যমে ফিরে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

বিগত এক যুগের বেশি সময় অর্থাৎ ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত যেকোনো রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া বিএনপির জন্য বাধ্যতামূলক ছিল। অনেক সময় আবেদন করেও পাওয়া যেত না অনুমতি। আবার দেওয়া হলেও সেটা কর্মসূচি শুরুর এক কিংবা দুই ঘণ্টা আগে। পাশাপাশি পুলিশের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মসূচি শেষ করা, কর্মসূচির মাঝপথে হামলা হওয়ার ভয় ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সেই হামলায় উল্টো আসামি করা হতো বিএনপির নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির সেই অবস্থা কেটে গেছে। এখন সারা দেশে বাধাহীন পরিবেশে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে দলটি।


বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়ে বিএনপির ১৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্থ হবে বলে ধারণা করলেও আপাতত সেই গুড়ে বালি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভিন্ন রকম এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আগামী নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তাবনা ও দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ড দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে দলটিকে। রাজনীতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ এখন কঠিন সংকটে। এবারের নির্বাচনে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় নামতে হতে পারে বিএনপিকে। বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলকে নিয়ে ইসলামী ফ্রন্ট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-তরুণদের সম্ভাব্য নতুন দলের প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখে পড়তে হতে পারে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলটিকে। একই সঙ্গে বিএনপিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশের সামরিক-বেসামরিক শক্তি ও সুশীল সমাজের সমর্থন আদায়ও করতে হবে। সঙ্গে রয়েছে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ। 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে তিনটি বড় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতির বাঁকবদল ঘটেছে, তার সবগুলোতে দৃশ্যত লাভবান হয়েছে বিএনপি। এই তিনটি ঘটনা ঘটেছে ১৯৭৫ সাল, ১৯৯০ সাল এবং ২০২৪ সালে। এসব গণঅভ্যুত্থানের একটির মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন, আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের পরে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। আরেকটির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সাঈদ ইফতেখার বলছেন, দুটো গণঅভ্যুত্থানের পরে ‘রাজনৈতিক শূন্যতার’ সুবিধা পেয়েছে বিএনপি। প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত নেতিবাচক হিসেবে জনগণের কাছে প্রতিভাত হয়েছে। সে সুযোগ বিএনপি পেয়েছে। বলা চলে, বিএনপির পালে লেগেছে সুবাতাস, তবু নির্বাচন আদায় নিয়ে রয়েছে নানামুখী চ্যালেঞ্জ। সব চ্যালেঞ্জ শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে পারলেই ক্ষমতার মসনদে বসার পথ মসৃণ হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আইএ

Link copied!