পিসিআর নষ্ট, সিলেট-রংপুরে করোনা পরীক্ষায় ভোগান্তি

  • শামছুল ইসলাম | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২১, ০৯:২৮ পিএম
পিসিআর নষ্ট, সিলেট-রংপুরে করোনা পরীক্ষায় ভোগান্তি

ফাইল ছবি

ঢাকা: চাহিদা মোতাবেক সিলেট ও রংপুরে নতুন দু’টি পিসিআর মেশিন সরবরাহ না করায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় করতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পূর্বের সমন্বয় সভার অগ্রগতি নিয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জানান, বগুড়ার পিসিআর মেশিন মেরামত করা হয়েছে। সেটি এখন চালু আছে। তবে গত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখন পর্যন্ত রংপুরে পিসিআর মেশিন সরবরাহ করা হয়নি। খুব দ্রুত পিসিআর মেশিন সরবরাহ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। তবে সিলেট সদর হাসপাতালের মেশিনটি চালু আছে। লন্ডনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে প্রতিদিন কয়েকশত মানুষ বিমানে সিলেট আসছেন এবং যাচ্ছেন। একটি মাত্র মেশিন দিয়ে এত মানুষের কোভিড পরীক্ষা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।সেজন্য তিনি জরুরি ভিত্তিতে একটি পিসিআর মেশিন সরবরাহের জন্য সভার সভাপতি মহোদয়কে অনুরোধ জানান।এর প্রেক্ষিতে রংপুর ও সিলেটে পিসিআর মেশিন দ্রুত সরবরাহের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয় সভায়। 

একইসঙ্গে সভায় টিকা কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পুনরায় নির্দেশনা প্রদান করা হয।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি মঙ্গলবার বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনটি মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যায়। এজন্য ব্যাকআপ হিসেবে নতুন একটি মেশিনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত নতুন মেশিন আসার কোনো খবর তার কাছে নেই। 

রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। 

রংপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনটি চালু আছে। নতুন মেশিন আসার তথ্য তার কাছে নেই। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার জানান, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের কেন্দ্র কম হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে হাসপাতালগুলোতে প্রচন্ড ভিড় হচ্ছে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কেন্দ্র বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। এছাড়া সভায়, বিভাগীয় কমিশনাররা মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য খাতের যে কোনো সমস্যার কথা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে অবগত করলে তা নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জানান। এসময় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জানান, সিলেটে অনেক কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙ্গে পড়ছে। এগুলো মেরামত অথবা পুন:নির্মাণ করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আরও আভিযোগ করেন, মাঠ পর্যায়ে জনবলের প্রবল সংকট। এ সংকটের কারণে সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়কদের হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার তার অধীন ফুলবাড়ী ইউনিয়নের দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙ্গে যাওয়ায় অন্যত্র স্থানান্তরের আবেদন জানান। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জানান, অনেক হাসপাতালে যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। এতে হাসপাতালের পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। 

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার জানান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে বরাদ্দ আছে। অনেক ক্ষেত্রে কাজ হয় খাতা কলমে, বাস্তবে নয়। 

চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিদ্যমান কমিটিতে সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে সেখানকার বিভাগীয় কমিশনার জানান। 

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী সিটি মেয়রকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সম্পৃক্ত করার জন্য সভাপতিকে অনুরোধ করেন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!