ঢাকা : বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের বর্জনের ঘোষণার মধ্যে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হলে বাধা দেওয়া হবে না-এমন ইঙ্গিত আসার পর জেলায় জেলায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এদের মধ্যে মনোনয়ন না পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য যেমন আছেন, তেমনি আছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।
আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে রোববার (২৬ নভেম্বর) ২৯৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সেদিন বিকালে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নামগুলো ঘোষণা করার আগেই মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতার সঙ্গে মত বিনিময়ে বিশেষ বার্তা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
মত বিনিময় থেকে বেরিয়ে এসে নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেছেন- ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো কোনো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস দেখতে চান না তিনি। সব আসনেই যেন ‘ডামি (বিকল্প)’ প্রার্থী থাকে।
এ বার্তা পাওয়ার আগে প্রতীক না পেলে ভোটে দাঁড়াবেন না ঘোষণা দেওয়া নেতারাও এখন উল্টো চিন্তা করছেন। পরদিনই তার প্রতিফলন দেখা গেছে মাঠের চিত্রে।
এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত রাখছেন।
আওয়ামী লীগের তিনবারের এমপি এবার নৌকার বিরুদ্ধে : গত তিনটি নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। প্রতীক পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত চন্দ্র সরকার।
তবে এ সিদ্ধান্তের পরদিনই রতন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বলে জানান তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) আব্দুর রাজ্জাক পাভেল।
রতন মনোনয়ন না পাওয়ার পরই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নেত্রী সবার জন্য এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করেছেন। সেজন্য আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হব। ৩০ নভেম্বর ডিসির কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেব। ৭ জানুয়ারি ফলাফল পেয়ে যাবেন।
ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান মনোনয়ন না পেলেও এ আসনে নৌকার টিকিট পাওয়া জাহাঙ্গীর কবির নানকের পাশাপাশি প্রার্থী হতে চাইছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে।
মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জের প্রস্তুতি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের : সিলেট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে ভোটের মাঠে ছেড়ে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
আওয়ামী লীগের তিনবারের এই সাংগঠনিক সম্পাদক এই আসনের পাশাপাশি সিলেট-৩ আসন থেকেও মনোনয়নপত্র তুলেছেন।
সিরাজ বলেন, আমি সিলেট থেকে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। এ জন্য সিলেটের মানুষজনের সঙ্গে আমার গভীর সর্ম্পক রয়েছে। দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে জানানো হবে; কোন আসনে নির্বাচন করব।
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।
কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলীয় প্রধানের নির্দেশনা আপনারা দেখেছেন। আমি আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমরা নৌকার প্রার্থীর সঙ্গেই রয়েছি।
নৌকা না পেয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আরেক কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির।
তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকেই আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করছি। রাজাপুর-কাঠালিয়ার মানুষ আমাকে দীর্ঘদিন ধরে এ আসনটির সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আগে দলীয় প্রতীকের বাইরে নির্বাচন করার বিধান ছিল না। কিন্তু রোববার প্রধানমন্ত্রী দলীয় নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যেকোনো নেতা বা যেকোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে আমার আসনের জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কামরুলের আসনে শাহীন, এনামুরের আসনে মুরাদ জং : ঢাকা-২ আসনে টানা চতুর্থবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে লড়তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।
ঢাকা-১৯ আসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের আসনে মনোনয়নপত্র তুলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং (মুরাদ)। তিনি ২০০৮ সালে এই আসনে নৌকা নিয়ে জিতেছিলেন। তবে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পান এনামুর।
এবারও মুরাদ জং মনোনয়ন চেয়ে পাননি।
একই আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস পদত্যাগ করেছেন। তিনি এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র তুলেছেন।
চট্টগ্রামে স্বতন্ত্রের মিছিলে ছালামও : সোমবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ৩৩ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে নৌকা না পাওয়া আট আওয়ামী লীগ নেতাও আছেন। এদের একজন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। তিনি নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।
ছালাম চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ছালামের বলেন, নেত্রী আদেশ দিয়েছেন সবাইকে নির্বাচনে অংশ নিতে। আমি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব।
এই আসনে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরীও।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলি) আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর সবুর লিটন। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। রাতে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভা করেন।
সুমন বলেন, আমার প্রতি নগর নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সমর্থন জানিয়েছেন। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করব।
একই আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে দলের মনোনয়ন না পেয়ে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেবও মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ন ম মিনহাজুর রহমানও।
তিনি বলেন, আমি এবং মোতালেব ভাই নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব। দুজনের মধ্যে যে কোনো একজন নির্বাচন করব।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবীর লিটন।
এ কে আজাদের পাশে আওয়ামী লীগের একাংশ : ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকা না পেয়ে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদও।
সোমবার রাতে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাদের নিয়ে এই ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, বদিউজ্জামান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শাহ আলম মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুল ইসলাম নিরুও।
আজাদ বলেন, আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম, সেটা না পেলেও আমি স্বতন্ত্রভাবে সংসদ সদস্য হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই।
ফরিদপুর অঞ্চলে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের ধারার সূচনা করেছেন সেটি অব্যাহত রাখতে ও আমার সমর্থকদের কথা বিবেচনা করে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই।
ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা এসব খাতে কাজ করতে চাই আমি। বিশেষ করে শিল্পে পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন।
তিনি বলেন, এক যুগ ধরে চেষ্টা করেছি মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে, তাদের ইচ্ছাই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।
এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান।
স্বতন্ত্রের দৌড়ে মাহিও : রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন ফরম তুলে আলোচনায় আসা চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে হতাশ হতে হয় রোববার।
পরদিন রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। দুপুরে রাজশাহী তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় থেকে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন তার ভগ্নিপতি জামাল উদ্দিন।
নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে জানিয়ে মাহি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নির্বাচন করাটাও আমার দায়িত্ব। প্রার্থী যত হবে, কেন্দ্রে ভোটার তত আসবে।
যেহেতু দল থেকে বাধা নেই তাই আমি প্রার্থী হচ্ছি। আশা করছি এলাকার ভোটাররা আমার সঙ্গে থাকবেন।
মাহি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কন্যানগর গ্রামের বাসিন্দা। তার নানার বাড়ি তানোর উপজেলার মুণ্ডমাল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ায়।
তিনি বলেন, তানোর ও নাচোল দুটোই আমার এলাকা। নানার বাড়ি সূত্রে তানোরেও আমার বাড়ি আছে। আমি এখানে বেড়ে উঠেছি। তাই ছোট বেলা থেকেই এখানকার মানুষ আমার পরিচিত।
রাজশাহীর ছয় আসনে তিনটিতেই দলের অন্যরা : রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর), রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর), রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এদের একজন সাবেক সংসদ সদস্য ।
রাজশাহী-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। মনোনয়ন না পেয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ দেননি। বরং তিনি বলেছেন, এবার ভোটকে উৎসবমুখর করতে। তাই নির্বাচনে বেশি প্রার্থী হলে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করবে ও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।
তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভা সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানীও এই আসনে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদেরকে তৃণমূলের লোকজন চাইছে তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন তুলব।
রাজশাহী-৫ আসনে দুইবারের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ।
ফেইসবুক লাইভে এই ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি নির্বাচন করতে প্রার্থী হয়েছি। কারণ ভোট হতে হবে প্রতিযোগিতামূলক এবং গ্রহণযোগ্যতামূলক।
রাজশাহী-৬ আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে লড়তে চান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক রায়হান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি ১৯৯৯ সালের উপ-নির্বাচনে রাজশাহী-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রায়হানুল বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দল থেকে বাধা নেই। এ ছাড়া জনগণ চাইছেন আমি ভোটে আসি। রিটানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।
রাজশাহীর ছয়টি আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ৪৭ জন।
ব্যারিস্টার সুমনের সিদ্ধান্ত বদল : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই মত বিনিময়ের আগে হাই কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, দলীয় প্রতীক না পেলে তিনি প্রার্থী হবেন না।
তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে, তাই পাল্টেছে তার সিদ্ধান্তও।
সোমবার তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে আমি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ করব।
দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিকের কাছ থেকে সুমনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রহমান।
সুমন ভোটে অংশ নেবেন হবিগঞ্জ-৪ আসনে। এখানে নৌকার প্রার্থী বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
সুমন ২০১৮ সালেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :