ঢাকা : দল হারুক আর জিতুক, মাহমুদউল্লাহর ব্যক্তিগত স্কোরটা বেশ জম্পেশ থাকে। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রান তাড়ায় সেঞ্চুরির পর তার উদযাপন ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। কারণ, তার সেঞ্চুরির আগেই দলের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। শুধু সেই ম্যাচ নয়, মাহমুদউল্লাহর বেশিরভাগ পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে হেরেছে বাংলাদেশ।
সদ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইওয়াশড হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। অথচ, ১৯৬ রান করে এই সিরিজের সর্বোচ্চ রানের মালিক মাহমুদউল্লাহ। তিনটি ম্যাচেই তিনি ফিফটি করেছেন। প্রথমটিতে ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০, তারপর ৯২ বলে ৬২ এবং গতকাল রাতে খেললেন ৬৩ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তিনটিতেই হারল বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যান বলে, ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস ৩৬টি। এর মধ্যে ৪টি সেঞ্চুরি আর ৩২টি হাফ সেঞ্চুরি। এই ৩৬টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের মধ্যে ২০টিতেই বাংলাদেশ হেরেছে। এই ২০ ম্যাচের মধ্যে দুটিতে আবার সেঞ্চুরিও করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। একটি গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ এবং অন্যটি ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮।
মাহমুদউল্লাহর যে ১৬টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে বাংলাদেশ জিতেছে, তার মধ্যে আছে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩, ও গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০২*। আর ১৪টি ফিফটির মধ্যে ৪টি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ৩টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২টি আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং ১টি করে ভারত, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :