ঢাকা: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী এখন থেকে খেলবেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না তার বাবা-মা।
তারা জানান, হামজা ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করলেও তার শিকড়ের সঙ্গে আমরা তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরেছি, বন্ধন তৈরি করে দিতে পেরেছি। আমরা ছোটবেলা থেকে সব সময়ই তাকে তার শিকড়, বাংলাদেশ সম্পর্কে জানিয়েছি। প্রতিবছর তাকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছি। ব্রিটেনে তার স্কুল ছুটির পুরো সময়টা অনেকবারই সে বাংলাদেশে কাটিয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে সে বাংলাদেশে গিয়েছিল। লেখাপড়া ও খেলাধুলার ব্যস্ততায় পরে আর যাওয়া হয়নি। ইনশা আল্লাহ এখন হামজা বাংলাদেশের জার্সি পরে খেলবে। আমাদের কাছে এর চেয়ে ভালো লাগার আর কিছুই হতে পারে না।
ব্রিটেনে হামজার মতো অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিভা আছে। হামজাকে অনুসরণ করে আরও অনেকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চাইবে। আমরা সবার কাছে দোয়া চাই হামজার জন্য, সে যেন বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে হামজার যোগাযোগ চলছিল অনেক দিন ধরেই। এত দিন বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলার খুব কাছে ছিলেন।
বাফুফের আবেদন প্রক্রিয়াধীন ছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। এর আগে গত জুনে বাংলাদেশের পাসপোর্টের আবেদন করেন হামজা। আগস্টে সেই পাসপোর্ট হাতে পান। এর পরপরই ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) ছাড়পত্র মেলে তাঁর।
২৭ বছর বয়সী হামজা বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটিতে খেলছেন, ক্লাবের অধিনায়কত্ব করেছেন এবং জিতেছেন এফএ কাপও।
এ ছাড়া খেলেছেন ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা লিগ ও এর পরের ধাপ উয়েফা কনফারেন্স লিগেও। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের মধ্যে এর আগে শুধু তারিক কাজীই ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলেছেন।
হামজার জন্ম ব্রিটেনে হলেও তার মা-বাবা বাংলাদেশি। বাংলাদেশে হামজার মা-বাবার বাড়ি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে। ছোটবেলায় অসংখ্যবার তিনি মা-বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :