ঢাকা: পাকিস্তানকে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টিতেও একই সাফল্য। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব তো আছেই। গত কয়েক মাসে স্মরণীয় কয়েকটি সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
তাদের সাম্প্রতিক এসব সাফল্য নজর কেড়েছে শাহিদ আফ্রিদি। বিপিএলে চিটাগং কিংসের মেন্টর ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজদের প্রশংসা করলেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক।
বাংলাদেশের সঙ্গে তার সংযোগ বেশ পুরোনো। ১৯৯৮ সালে শুরু। এরপর ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশে অনেকবার এসেছেন আফ্রিদি। এই দেশকে তিনি 'দ্বিতীয় বাড়ি' মনে করেন, এই কথা নানা সময়েই বলেছেন তিনি। সেই চেনা আঙিনায় এবার বদলেছে তার পরিচয়। তবে বদলায়নি আফ্রিদির অভিজ্ঞতা।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বিপিএলের ম্যাচ চলার সময় টিভি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন আফ্রিদি।
আমি সবসময় বলি, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এটিকে সবসময়ই দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে দেখি। এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখানের মানুষ ক্রিকেটের ব্যাপারে অনেক উৎসাহী। বাংলাদেশে আমি অনেক সম্মান পেয়েছি। পাকিস্তান ও ভিন্ন কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে বিপিএলে আমার দারুণ স্মৃতি আছে। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞতা খুব ভালো। এখনও উপভোগ করছি।
১৯৯৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে অন্তত ১৩ বার বাংলাদেশ সফর করেছেন আফ্রিদি। এছাড়া ২০১৯ পর্যন্ত ভিন্ন পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন বিপিএলের ৬ আসরে।
ক্যারিয়ারজুড়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বড় বার্তাবাহক ছিলেন আফ্রিদি। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বিপিএলের এবারের আসরে তাকে দলের সঙ্গে যুক্ত করেছে চিটাগং কিংস।
মঙ্গলবার দলের প্রথম ম্যাচ মাঠে বসেই দেখেছেন আফ্রিদি। শামীম হোসেনের লড়াই ছাড়া বাকিদের বাজে ব্যাটিং-বোলিংয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে কোনো আশাই জাগাতে পারেনি কিংস।
আগে ব্যাট করে ২০৩ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। বিপরীতে কিংস থামে ১৬৬ রানে। কিংসের ব্যাটিংয়ে সপ্তম ওভারের সময় যখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন আফ্রিদি, ততক্ষণে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেছেন ছয় ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে কিছু না বললেও বোলারদের ঘাটতির দিকটি তুলে ধরেন আফ্রিদি।
(মেন্টরের কাজ) খুবই সহজ। শুধু সমর্থন ও অনুপ্রেরণা দেওয়া। মাত্র টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। বোলিংয়ে আমরা কিছু বড় ভুল করেছি। খুব অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ আমাদের। কিন্তু সঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারিনি। পিচ পড়তে পারিনি। পিচ বুঝে বোলিং করতে পারলে আমার মনে হয়, দলটা খুব ভারসাম্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সাফল্য ও উন্নতির প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়। এই দেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জন্য ভালো একাডেমি গড়ার পরামর্শ দেন আফ্রিদি।
(বাংলাদেশের উন্নতিতে) আমি খুবই খুশি। কারণ তারা ভুগছিল। বিপিএলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরে প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও খুব ভালো খেলেছে, সিরিজ জিতেছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশে অনেক প্রতিভা আছে। তাদের জন্য ভালো প্রতিষ্ঠান, যেমন কিছু একাডেমি দরকার, যেখানে ক্রিকেটাররা বেড়ে উঠতে পারবে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :