ঢাকা: ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ৯১ রান নিউজিল্যান্ড পেরিয়েছিল ৫৯ বল হাতে রেখে। সেটি ছিল এই সংস্করণে অব্যবহৃত বলের হিসেবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় হার। আজ শেষ ম্যাচে ভেঙে গেল সেই রেকর্ড। এবার নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৬০ বল হাতে রেখে!
ব্যাট হাতে আরেকবার ব্যর্থ পাকিস্তান এবার করে ৯ উইকেটে ১২৮ রান। টিম সাইফার্টের তাণ্ডবে স্কোরটা ঠিক ১০ ওভারেই ৮ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। তাতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিল কিউইরা।
রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের আক্ষেপ হতে পারে একটাই, সাইফার্টের সেঞ্চুরি না পাওয়া। ৬ চার ও ১০ ছক্কায় ৩৮ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন কিউই ওপেনার। ১০ ছক্কার শেষ তিনটি সাইফার্ট মেরেছেন শাদাব খানের করা দশম ওভারের শেষ তিন বলে। ওই ওভারের প্রথম বলেও একটি ছক্কা মেরেছিলেন সাইফার্ট। সাইফার্ট এর আগে জাহানদাদ খানের করা ষষ্ঠ ওভারেই মারেন ৩টি ছক্কা। ২৩ বল ফিফটি ছোঁয়া সাইফার্টের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস।
সাইফার্টের পর নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনের। ১২ বলে ২৭ রান করা অ্যালেন সাইফার্টের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন মাত্র ৬.২ ওভারেই।
পাকিস্তানের ইনিংসটাকে পরিষ্কার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে ১০.২ ওভারে ৫২/৫ ছিল দলটির স্কোর। দ্বিতীয় ভাগে ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক আগা সালমান ও শাদাব খানের ৫৪ রানের জুটি। এরপর আবার ব্যাটিং বিপর্যয়, শেষ চার ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলটি তুলতে পারে ২২ রান।
পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান ৩৯ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ৫১ রান। শাদাব করেন ২০ বলে ২৮। এ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন শুধু ওপেনার মোহাম্মদ হারিস (১৭ বলে ১১)। নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম ২২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। কিউই অলরাউন্ডার ৮৩ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনো ম্যাচে ৩ উইকেটের বেশি পেলেন।
দুই দল এখন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২৯ মার্চ, নেপিয়ারে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :