ঢাকা : চলমান বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। মেহেদী হাসানের ফিফটির পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে তারা।
প্রথমে ব্যাট করে মেহেদী হাসানের ঝড়ো ফিফটিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। এর আগে তারা করেন যথাক্রমে ১৮ ও ৯ রান।
ভাল শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি নাঈম শেখ। তবে মুশফিকুর রহিম ও আকবর আলীর ব্যাটে লম্বা সময় জয়ের পথে ছিল ঢাকা। তবে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে দুজনেই ফিরে গেলে উজ্জ্বল হয় রাজশাহীর জয়ের সম্ভাবনা। মুশফিক ৪১ ও আকবর ৩৪ করেন।
শেষদিকে মুক্তার আলী ও সাব্বির রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় আনে ঢাকা। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। এমন সময় বল হাতে এগিয়ে আসেন মেহেদী। একের পর এক ডট দিয়ে ঢাকার ওপর চাপ তৈরি করেন তিনি।
শেষ ২ বলে যখন পাঁচ রান প্রয়োজন তখন মেহেদী নো বল করে বসলে খেলার উত্তেজনা চরমে ওঠে। তবে ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেননি মুক্তার আলী। শেষ বলে চার রান প্রয়োজন হলেও এক রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি। ফলে অবিশ্বাস্য জয় পায় রাজশাহী।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর দেড়টায় ম্যাচটি শুরু হয়। এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। রাজশাহীর হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইমন। দুজনেই দলকে বেশ ঝড়ো সূচনা এনে দেন।
ব্যক্তিগত ১৭ রানে শান্ত ফিরলে ভাঙে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী। রনি তালুকদার, আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
সাজঘরে ফেরার আগে রনি করেন ৬ রান। বঙ্গবন্ধু টি-২০ টুর্নামেন্টে আশরাফুলকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন থাকলেও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে যান ফজলে মাহমুদ।
মাত্র ৬৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা রাজশাহীর হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান। দুজনের ৮৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে তারা। সোহান ৩৯ করে ফিরলেও ফিফটি করে মাঠ ছাড়েন মেহেদী। বলা যায় তার ব্যাটে ভর করেই লড়াকু সংগ্রহ পায় শান্তর দল। শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রান সংগ্রহ করতে পারে রাজশাহী।
ঢাকার হয়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেন মুক্তার আলী। এছাড়া মেহেদি হাসান রানা, নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :