ঢাকা : চলমান বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে শুরুটা খুব ভালো ছিল না। মাঝ পখথে গিয়েও খেই হারিয়ে ফেলেছিল। এক সময় হারের বৃত্তে আটকে শেষ চারে সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে যায় তাদের। রাউন্ড রবিন লিগের ফিরতি পর্বের শেষ দুই ম্যাচে নিকটতম প্রতিপক্ষ মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী আর বেক্সিমকো ঢাকাকে হারিয়ে নকআউট পর্বে তামিম ইকবালের বরিশাল। ওই দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলটির ব্যাটসম্যানরা প্রায় সবাই অবদান রেখেছেন।
রাজশাহীর সাথে ২২১ রানের বড় টার্গেট ছুঁতে গিয়ে অসাধারণ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন। তার হার না মানা শতকের আগে হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের ভাল খেলতে সাহস জুগিয়েছেন অধিনায়ক তামিমও। শনিবারও ঢাকার বিপক্ষে মাঝপথে রানের গতি স্লথ হয়ে পড়েছিল। অধিনায়ক তামিম, আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ ইমন কম রানে আউট হলেও দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব আর তৌহিদ হৃদয় শেষ ৫ ওভারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে ১৯০’র ঘরে পৌঁছে দেন।
ওই দুই ম্যাচের চালচিত্র পরিষ্কার বলে দিচ্ছে, ব্যাটিংটাই চালিকাশক্তি বরিশালের। তবে দলটির প্রশিক্ষক সোহেল ইসলাম তা মানতে রাজি নন। শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংটাকেও পিছিয়ে রাখতে নারাজ সোহেল।
তার ব্যাখ্যা, ‘ঢাকার সাথে শেষ ম্যাচে আমাদের দল ভাল খেলেছে। শেষ দুই ম্যাচের একটিতে ২২০ রান টপকে জিতেছে। শেষ ম্যাচে ১৯০ প্লাস রান করে জিতেছে। স্কোরলাইন দেখে মনে হচ্ছে ব্যাটিংই বুঝি আমাদের জিতিয়েছে। মোটেই তা নয়। আমাদের বোলাররাও পিছিয়ে ছিল না। তাদেরও অবদান আছে। আমার মনে হয়, আমাদের শেষ চারে খেলা ও ভাইটাল ম্যাচ জেতা- টিম পারফরমেন্সের ফসল। আমি নকআউট পর্বে সেই টিম পারফরমেন্সটাই চাই। সেটাই সাফল্য এনে দিতে পারে। কোন বিভাগের বিচ্ছিন্ন পারফরমেন্সে জয় ধরা দেবে না।’
আগের ম্যাচের অনুপ্রেরণার কথা সামনে এনে বরিশাল কোচ বলেন, ‘তবে এটা ঠিক, আগের ম্যাচের জয় অবশ্যই বাড়তি শক্তি ও সাহস সঞ্চার করবে। যে কোন জয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আস্থা আনে। আর যেহেতু একই দলকে হারিয়ে শেষ চারে পা রাখা, তাই একটু সাহস শক্তি ও উদ্যমতো আছেই। আমার মনে হয় ছেলেরা দেখিয়েছে তাদের দিনে এ আসরের যে কোন দলকে হারানোর সামর্থ আছে তাদের।’
ঢাকা কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন নিজ দলকে ‘বেটার সাইড’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে বরিশাল কোচ সোহেল ইসলাম নিজ দল নিয়ে কোনো রকম বড় মন্তব্যে যেতে নারাজ। তার ব্যাখ্যা ভিন্ন।
তিনি বলেন, আমার কাছে নির্দিষ্ট দিনের গেম প্ল্যান, একাদশ সাজানো, উইকেটের সাথে কোন নির্দিষ্ট দলের পারফরমেন্সের কার্যকরিতা আসল। শক্তির অনুপাত, সামর্থ্য আর ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, মুন্সিয়ানা কোনটাই আমার কাছে খুব বড় না। আমি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আগের হিসেব নিকেশ ধরি না। কে কেমন দল? তার শক্তি কেমন? তা নিয়ে খুব মাথা ঘামাই না আমি। আমার কথা হলো আমার দল নির্দিষ্ট দিনে কেমন খেললো, সেটাই।’
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :