ঢাকা: সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ঝড় তুলেছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিজেদের আবারও প্রমান করলেন বাবর আজমরা। রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট হেসেছে টপঅর্ডারদের।
এমন দুর্দান্ত সফরের পরও পাকিস্তান দলে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিককে চান দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
আফ্রিদির এমন চাওয়া অবশ্য মোটেই অন্যায্য নয়। এর পেছনে অবশ্য একটি অকাট্য যুক্তি রয়েছে।
সেটি হচ্ছে— পাকিস্তানের এমন সাফল্যের সিরিজেও একটি দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। তা হলো মিডলঅর্ডারের দুর্বলতা।
কেননা পুরো সিরিজজুড়েই মিডলঅর্ডারে দলের হাল ধরার মতো কোনো ব্যাটসম্যানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি কোন ফরম্যাটেই জ্বলে উঠতে পারে নি মিডলঅর্ডারের ব্যাটসম্যানরা।
গোটা সিরিজে পাকিস্তানের ব্যাটিং টেনে নিয়েছে দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানেরা। তিন ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টি মিলে সাত ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরের পর নামা কোনো ব্যাটসম্যান ৪০ রানের বেশি করতে পারেনি।
যা করেছেন টপঅর্ডারের বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাম-উল হক। মিডলঅর্ডারে মোহাম্মদ হাফিজ, আসিফ আলী, হায়দার আলীদের থেকে উল্লেখযোগ্য ইনিংস আশা করা যায়নি।
আর এ বিষয়টি চোখে পড়েছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বুম বুম আফ্রিদির।
ভারতের মাটিতে অক্টোবরে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই ঘাটতি পূরণ চান আফ্রিদি। আর বুমবুমের মতে, অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক-ই পারবেন এই ঘাটতি পূরণ করতে।
এদিকে এক টুইটবার্তায় আফ্রিদি জানান, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জেতায় পাকিস্তানকে অভিবাদন। সিরিজ জয় সত্ত্বেও আমাদের ভাবতে হবে মিডলঅর্ডারের পারফরম্যান্স নিয়ে। ওই জায়গাটায় আমরা অনেক দিন ধরে ধুঁকছি। আমার মনে হয়, শোয়েব মালিককে আবারও বিবেচনা করা উচিত। বিশেষ করে যখন এ বছরই একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে।’
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :