ঢাকা: টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন ৬ জন। তারা হলেন দুই আরচার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী, দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ, অ্যাথলেট জহির রায়হান ও শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ২৩ জুলাই পর্দা উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের। ৮ আগস্ট শেষ হবে এই আয়োজন।
টোকিও অলিম্পিক বাংলাদেশের অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের শেফ দ্য মিশন শেখ বশির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের রোমান সানা নিজ যোগ্যতায় টোকিও অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছি। তাকে নিয়ে আমরা ভালো কিছু আশা করছি।’ ‘আমাদের যদি কোনো পদক আসে সেজন্য অলিম্পিকের একটি নীতিমালা আছে সেই অনুযায়ী পুরস্কৃত হবেন ক্রীড়াবিদরা। আমরা তাদের বলেছি, টাকার অঙ্ক নিয়ে ভেব না তোমরা পদক পেলে পুরো দেশবাসী তোমাদের নিয়ে আনন্দ করবে।’
করোনার জন্য অলিম্পিকে যাওয়ার আগে খেলোয়াড়দের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আনা হয়নি। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন আরচ্যার রোমান সানা ও শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী। রোমান সানা বলেন, ‘প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন হচ্ছে। ফাইনাল ম্যাচগুলো হয় যেভাবে, সেভাবে আলাদা অনুশীলনের একটা ব্যবস্থা হয়েছে।
দুই সাঁতারুই অন্য দেশ থেকে গিয়ে টোকিও যাবেন। সাঁতারু আরিফ ফ্রান্সে প্রশিক্ষণে আছেন। আরেক সাতারু লন্ডন প্রবাসী জুনাইনা। আরিফ তিন বছর উচ্চতর প্রশিক্ষণ করলেও তাকে নিয়ে খুব বেশি আশা করতে পারছে না বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
শুটিং ও অ্যাথলেটিক্স থেকে যাচ্ছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকী এবং জহির রায়হান। এই দুই জনের উপর স্বাভাবিক প্রত্যাশা নিজের সেরা স্কোর ও টাইমিংয়ের উন্নতি। অভিজ্ঞ শুটার বাকী ও সরাসরি কোয়ালিফাইল করা রোমানকে নিয়ে পতাকা বহন করানোর পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের।
দুই জনেরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দিন খেলা থাকায় তাদের পরিবর্তে সাঁতারু আরিফুল ইসলাম উদ্বোধনের দিন বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা তার টোকিওগামী দলের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘যদি তারা সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে দিতে পারে, তাহলে দেশের জন্য মাইল ফলক আনতে পারবে বলে বিশ্বাস করি। এ মুহূর্তে সুস্থ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি তারা সুস্থ থেকে সেরাটা উজাড় করে দিতে পারবে।’
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :