ঢাকা: দীর্ঘ চার বছর পর বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম অনুষ্ঠিত হল।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে সারা দেশ থেকে প্রায় ১২০ জনের অধিক কাউন্সিলর এই এজিএমে অংশ নেন। যেখানে একাধিক এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। এই সভা শেষে বিসিবির আয়-ব্যয়ের হিসেবও জানিয়েছেন পাপন।
শেষ ৩ বছরে বাংলাদেশের আয় ২৯ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল; এই ৬ বছরে যেখানে বোর্ডের ইনকাম ছিল ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে করোনার মধ্যেও শেষ ৩ বছরে বোর্ডের উপার্জন ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
পাপন জানান, ‘বড় বড় বোর্ডগুলো করোনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। তারা আইসিসি থেকে টাকা ঋণ নিচ্ছে বা চাচ্ছে। সে জায়গায় আমরা ক্রিকেটের বাইরেও অনেককে সাহায্যের চেষ্টা করে গিয়েছি। ১২ থেকে ১৮, এই ছয় বছরে আমরা ৩৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পেয়েছি। গত ৩ বছরে সেটা ২৯ মিলিয়ন ডলার, করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও।’
করোনাভাইরাসের কারণে কর্মী ছাটাইয়ের পথে হেঁটেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো ধনী বোর্ডগুলো। কাটা হয়েছে ক্রিকেটারদের বেতন। অথচ উল্টো পথে বিসিবি। বরং সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের সঙ্গে নারী দলের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে। তবে এবারের এজিএম শেষে নিজেদের ব্যর্থতাও তুলে ধরলেন পাপন। অকপটে স্বীকার করলেন কোথায় কোথায় ঘাটতি।
পাপন জানালেন, ‘সামনে যে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হবে। এখনকার ছেলেদের জন্য তো কিছুই করতে পারলাম না। আগের ওদের জন্য যা করেছি তার কিছুই করতে পারলাম না। আগের দলটি ৩০টির মতো ম্যাচ খেলেছে, সারাক্ষণ খেলার মধ্যে ছিল। এখন তো কোনো বোর্ড খেলতে রাজি হচ্ছে না, জাতীয় দলই হচ্ছে না। আগের দলের সুযোগ-সুবিধা এই দলকে দিতে পারিনি কোভিডের জন্য।’
সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘বিশ্বকাপ জিতে যারা আসলো তারা যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, যে জায়গায় আজকে দেখতে পারার কথা, যে পর্যায়ে আসার কথা তা আমরা দিতে পারিনি। এটাও কোভিডের জন্য। এগুলো ব্যর্থতা। উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :