শুভ জন্মদিন ম্যাশ

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১, ০১:৪৫ পিএম

ঢাকা : ২০০১ সালের নভেম্বরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল একজন দুর্দান্ত কৈশোর পেরনো যুবকের। ৪ উইকেট শিকার করে আলাদাভাবে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। শৈশব থেকেই ছিলো ক্রিকেটের প্রতি আলাদা এক টান যাকে আঁকড়ে ধরে জাতীয় দলে সুযোগ পান। বারবার হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েও ফিরে এসেছেন অদম্য গতীতে। বাংলাদেশকে অনেক জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। তিনি আর কেউ নন, নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ তার ৩৮তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন ম্যাশ। 

তিনি ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের মহিষখোলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন এবং মা হামিদা মর্তুজা বলাকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাশরাফি বড়।

তর্কসাপেক্ষে বা পরিসংখ্যানের বিচারে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনিই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। চলে এসেছেন ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে, হয়তো খেলবেন আর কয়েক বছর।

২০০১ সালের অভিষেক ম্যাচে আলাদা করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়া মাশরাফি পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই হয়ে থেকেছেন সবার চেয়ে আলাদা, নিজের জায়গা করেছেন সবার চেয়ে ওপরে। ঘাত-প্রতিঘাতের ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩৬টি। যার সবশেষটি আবার ২০০৯ সালে। ইনজুরির কারণে টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হয়নি, তবে ওয়ানডে ম্যাচ কিংবা উইকেটসংখ্যায় তিনিই বাংলাদেশের সবার ওপরে। অনাকাঙ্ক্ষিত বাধায় থামতে হয়েছে বারবার, তবে দুর্দান্তভাবে ফিরেছেন প্রতিবার। ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজেও ছিলেন দলের সদস্য।

পঞ্চাশ ওভারের এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২০ ওয়ানডে খেলেছেন মাশরাফি, শিকার করেছেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭০ উইকেট। ২০০৬ সালে এক ম্যাচে মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। যা এখনও পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ব্যাট হাতে এই ফরম্যাটে তার সংগ্রহ ১৭৮৭ রান।

২০০৬ সালে দেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়েই কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় মাশরাফির। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নিয়েছেন ২০১৭ সালের এপ্রিলে। মাঝের সময়ে ৫৪ ম্যাচে ৪২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ১৩৬ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৩৭৭ রান।

সবশেষ বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারায়, ক্রিকেটভক্তদের একাংশ হয়তো নাখোশ মাশরাফির ওপর। তবে প্রায় ২০ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা দিয়েছেন, তা তাকে পরিণত করেছে কোটি হৃদয়ের ভালোবাসায়। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুনরায় অধিনায়কত্ব পেয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। তার অধীনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছেন টাইগাররা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে ও ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল টাইগাররা।

মাশরাফির অধীনে বাংলাদেশ দল ৮৮টি ওয়ানডে খেলে জিতেছে ৫০টিতে, যা কি না দেশের ইতিহাসে যেকোনো অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টিতে ২৮ ম্যাচে ১০ জয় নিয়েও বাংলাদেশের অন্যান্য অধিনায়কদের চেয়ে ওপরেই অবস্থান করছেন তিনি। 

Link copied!