ঢাকা : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২৭ রানে হারিয়ে আবারও শিরোপা ঘরে তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে চেন্নাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কলকাতা দলপতি ইয়ন মরগান। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াদ এবং ফাফ দু প্লেসির ব্যাটে ভর করে ওপেনিং জুটিতেই ৬১ রান তোলে চেন্নাই। ২৭ বলে ৩২ করা ঋতুরাজ সুনীল নারিনের শিকার হয়ে ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুটি।
এরপর রবিন উথাপ্পাকে নিয়ে কলকাতার বোলারদের ওপর এক প্রকারে স্টিম রোলার চালান দু প্লেসি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন বড় সংগ্রহের দিকে।
দলীয় ১২৪ রানে উথাপ্পা থামলেও মঈন আলীকে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান দু প্লেসি। ৮৬ রান করে থামেন ইনিংসের শেষ বলে। আর সেই সুবাদে চেন্নাই পায় ১৯৩ রানের বড় পুঁজি।
গত তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন সাকিব ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান। থেকেছেন উইকেটশূন্য।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুভমন গিল ও ভেঙ্কেটেশ আয়ারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সূচনা হয় কলকাতার। দুর্দান্ত এক অর্ধশতক করে আয়ার বিদায় নেয়ার আগে দলীয় স্কোর যোগ করে আসেন ৯১ রানের।
এরপর স্কোরশিটে ২ রান যোগ করতেই আরও দুই ব্যাটার সাজঘরে ফেরে কলকাতার। যার ফলে ৯৩ রানেই তিন উইকেট নেই মরগানের দলের।
দুর্দান্ত ফর্মে ইয়থাকা গিলও ফেরেন ৫১ করে চাহারের শিকার হয়ে।
এরপর অধিনায়ক মরগানকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখেন দিনেশ কার্তিক। কিন্তু ৯ রান করেই তাকে সাজঘরে ফিরতে সাহায্য করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
ব্যর্থতার চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রানের খাতা খোলার আগেই মাঠ ছাড়েন সাকিব। আর সেখানেই এক প্রকারে স্তিমিত হয়ে যায় কলকাতার জয়ের আশা।
পরে অবশ্য শিভম মাভি ও ফার্গুসন ব্যবধান কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেন। ১৩ বলে দুটি ছয় ও একটি চার হাঁকিয়ে ২০ রানে ফেরেন মাভি। আর একটি ছয় ও একটি চারে ১৮ রানে অপরাজিত থাকে ফার্গুসন।
এরপর আর খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি কলকাতার কোনো ব্যাটারই।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে শেষ হয় কলকাতার ইনিংস। আর ২৭ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কলকাতাকে। সেই সঙ্গে বিসর্জন দিয়ে আসতে হয় তাদের তৃতীয় শিরোপার অধরা স্বপ্নটাকেও।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :