ঢাকা: বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের একজন শোয়েব মালিক। তাকে অধিনায়ক বাবর আজম প্রায়ই আখ্যা দেন ম্যাচ উইনার বলে। তারই যেন একটা নমুনা মিলল আজ।
শেষে তাণ্ডব চালালেন স্কটিশ বোলারদের ওপর, তুলে নিলেন চলতি বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটিটাও। তাতে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ১৮৯ রানের পাহাড় গড়েছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
আজ (রোববার) সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচটি জিতলে টেবিল টপার হয়েই সেমিতে খেলতে নামবে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। আর শেষদিকে টর্নেডো ইনিংসে ফিফটি হাঁকিয়েছেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক।
পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৩৫ রান। সপ্তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ১৫ রান। ফাখর জামান আউট হওয়ার আগে করেন ১৩ বলে ৮ রান।
ইনিংসের মাঝপথ শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৬০ রান। সেখান থেকে শেষ দশ ওভারে বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের ব্যাটের চড়ে ১২৯ রান যোগ করে তারা। বাবরের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিলেন মালিকই।
প্রথমে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৫ ওভারে ৫৩ রান যোগ করেন হাফিজ ও বাবর। আউট হওয়ার আগে হাফিজ খেলেন ১৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস। দুই ওভার পর সাজঘরের পথ ধরেন বাবরও। ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটিতে ৪৭ বলে ৬৬ রান করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
শেষদিকে পাকিস্তানকে দুইশ ছুঁইছুঁই স্কোর এনে দেয়ার পূর্ণ কৃতিত্ব মালিকের। শেষ ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারের মারে নেন ২৬ রান। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১৮ বলে পঞ্চাশ পূরণ করেন তিনি। যা চলতি আসরের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
মালিক অপরাজিত থাকেন এক চার ও ছয় ছয়ের মারে ১৮ বলে ৫৪ রান করে। আসিফ আলির ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ৫ রান। এ দুজনের ১৫ বলে জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ ৪৭ রান। যার সিংহভাগই করেন মালিক।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :