ঢাকা: এই বিশ্বকাপে শোয়েব মালিকের খেলারই কথা ছিল না। শোয়েব মাকসুদের চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে সুযোগ পান ৪০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। আর সুযোগ পেয়েই দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। গত রাতেই ১৮ বলের ঝড়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি, যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম ফিফটি।
সেই ১৯৯৯ সালে অভিষেক হওয়া মালিক এই বয়সেও কীভাবে নিজেকে এমন ফিট রাখেন? এই প্রশ্ন সবার মনে। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানের এই দলে অনেকেই মালিককে সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড় মনে করেন। এই দলে আছেন দলের অধিনায়ক বাবর আজমও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের সংবাদ সম্মেলনে বাবর জানিয়েছিলেন মালিকের ফিটনেসের কথা।
গতকাল স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়া ইনিংসের পর ম্যাচ শেষে আবারও মালিকের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এর উত্তর দিয়েছেন মালিক নিজেই, ‘দেখুন, সত্যি বলতে কী, আমি যখন আয়নায় নিজেকে দেখি, তখন নিজেকে ফিট হিসেবে দেখার একটা জেদ কাজ করে নিজের মধ্যে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমি এখনো ক্রিকেট খেলাটা উপভোগ করি। আর দলের জন্য ব্যাপারটা কাজেও দিচ্ছে। আপনি যদি ফিট থাকতে চান, আপনাকে প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে। আর আমি সেটাই করে যাচ্ছি।
দলে প্রথমে ডাক পাননি। স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লেগেছিল তার। বিশ্বকাপ দলে প্রথমে ডাক না পাওয়ার পেছনে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তার বাজে পারফরম্যান্সেরও প্রভাব আছে অনেক। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে দশ ম্যাচ খেলেছিলেন। গড় ছিল মাত্র ৭.৪।
কিন্তু ওই হতাশা থেকে মালিক বেরিয়ে এসেছেন পারফরম্যান্স দিয়েই, ‘বিশ্বকাপের জন্য দল যখন ঘোষণা করা হলো, আমি তখন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলছিলাম। অবশ্যই আমার মন খারাপ হয়েছিল। হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। বিশ্বকাপের দলে যখন নিজের নাম দেখা যায় না, তখন অনেক খারাপই লাগে। তবে একজন পেশাদার খেলোয়াড় ও অ্যাথলেট হিসেবে আপনার লক্ষ্য থাকা উচিত সে হতাশা থেকে বেরিয়ে আসার।’
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :