ঢাকা: আবারো ব্যর্থ নিউজিল্যান্ড। ৪৮ বলে ৮৫ রানের অধিনায়কোচিত এক ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছিলেন লড়াই করার মতো এক সংগ্রহ। কিন্তু দিন শেষে ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শ প্রমাণ করে দিলেন কিউই অধিনায়কের ইনিংসটা যথেষ্ট ছিল না।
অধিনায়ক একাই খেললেন, কিন্তু তাকে কেউই সেভাবে সঙ্গ দিতে পারলেন না। নিউজিল্যান্ডও সংগ্রহটাকে নিয়ে যেতে পারল না অস্ট্রেলিয়ার নাগালের বাইরে। ওয়ার্নার আর মার্শের একটা জুটিতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপ ফাইনালকে ‘একপেশে’ বানিয়ে দুবাইয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টির নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে হেরে আরও একটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্যর্থ নিউজিল্যান্ড।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত হওয়া ১২ আসরের মধ্যে পাঁচবারই সেরা মুকুট উঠেছে অজিদের মাথায়। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে ছয় আসর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অস্ট্রেলিয়ার ট্রফি ক্যাবিনেট ছিল পুরোপুরি শূন্য।
অবশেষে সপ্তম আসরে এসে অধরা শিরোপার দেখা পেল বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল জিততে তাদের গড়তে হতো ইতিহাস। নতুন রেকর্ড গড়েই শিরোপা ঘরে তুলেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৭২ রান। যা ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। শিরোপা জেতার পথে নতুন রেকর্ড গড়ে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অজিদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রেখেছেন তিন নম্বরে নামা ডানহাতি ব্যাটার মিচেল মার্শ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৭৭ রান। বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :