অধিনায়কত্বে ‘বড় ভাইদের’ পাশে চান লিটন

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ০৬:০৩ পিএম
অধিনায়কত্বে ‘বড় ভাইদের’ পাশে চান লিটন

ঢাকা : ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে লিটন দাসের ক্যারিয়ারে যুক্ত হচ্ছে নতুন অধ্যায়। প্রথমবারের মতো এই সংস্করণে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। পারফরমার স্বত্ত্বার বাইরে এবার অধিনায়কত্বের চাপটাও সামাল দিতে হবে তাকে। কঠিন সেই চ্যালেঞ্জে বহু অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তিন ক্রিকেটারকে দলে পাওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মানছেন স্টাইলিশ এই ওপেনার।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব আগেও করেছেন লিটন। গত বছর নিউ জিল্যান্ড সফরে নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর চোটে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আচমকাই দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ওই ম্যাচে ভিন্ন কন্ডিশন ও শক্ত প্রতিপক্ষ ছাড়াও লিটনকে খেলতে হয়েছে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে। দলে ছিলেন না কোনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়।

এবারের তিনি ততটা ‘একা’ নন। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল কুঁচকির চোটে ছিটকে যাওয়ার পর সিরিজ শুরুর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে লিটনকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানায় বিসিবি। পুরো সিরিজই রোহিত শর্মার সঙ্গে টস করতে নামবেন তিনি।

ঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশন ও সিরিজটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ না হওয়ায় চাপ তুলনামূলক আপাত কম লিটনের জন্য। তবে ভারতের মতো বড় দলের বিপক্ষে কাজটা সহজও নয় খুব একটা। তিন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে পাশে পেয়ে বেশ স্বস্তির কথাই বললেন তিনি।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার দুপুর ১২টায় মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে নিজের চাওয়ার কথা জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এটি আমার জন্য বাড়তি পাওয়া যে, আমি যখন দায়িত্ব পেলাম তখন আমার হাতে ১৫ বছর খেলার অভিজ্ঞতা থাকা তিনজন সিনিয়র খেলোয়াড় আছে। অবশ্যই আমি চাইব তারা আমাকে মাঠের ভেতরে সাহায্যটা করবে। কারণ প্রথমবার আমি এত বড় একটা সিরিজের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেলাম।

আমি আশাবাদী, বড় ভাইরা আমাকে ওভাবে ফিডব্যাক দেবেন। আমার এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে যে, আমার মাঠে তিনজন খেলোয়াড় থাকবে যারা ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। আমি তাদের কাছে যেকোনো সময় সাহায্য পাব।

গত বছরের নিউ জিল্যান্ড সফরে হুট করে পাওয়া দায়িত্বের সঙ্গে এবারের পার্থক্যের কথাও বলেন লিটন। 

আগেরবার দায়িত্ব ছিল আমার জন্য ‘ভ্যাকেশনের’ মতো। আমি কিছুই জানতাম না। হুট করে ক্যাপ্টেন হয়ে গেছি। তখন কিছু করারও ছিল না।

এবার সুযোগ থাকবে দলের সঙ্গে ১০ দিন কাজ করার। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে, আমি চেষ্টা করব দলকে দেওয়ার। দলের কাছ থেকে আশা করছি, তারা যেন আমাকে ফিডব্যাক দেয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!