ঢাকা : মাঝে ১৪ বছরের অপেক্ষা, অবশেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৮ জুন) বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে দাপুটে ফুটবল খেলে ভুটানকে ৩-১ গোলে হারায় হাভিয়ের কাবরেরার দল। সুবাদে ‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা চারে জায়গা পেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের হয়ে এদিন একটি করে গোল করেছেন শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন। অন্য গোলটি এসেছে আত্মঘাতী থেকে। ভুটানের পক্ষে গোলটি করেন তিসেন্দা দর্জি।
মোরসালিন ও রাকিব আগের ম্যাচেও একটি করে গোল করেছিলেন।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ে বাংলাদেশ সবশেষ সেমিফাইনালে খেলেছিল ২০০৯ সালে। অর্থাৎ ১৪ বছর ও পাঁচ আসর পর বাংলাদেশ শেষ চারে উঠল।
এই গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচের সব কটিতে জিতে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে সেরা দল হিসেবে সেমিফাইনালে পা রেখেছে লেবানন। ১ জুলাই সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। একই দিন ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন কুয়েতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
লেবানন এদিন মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ অনেকটা সহজ করে দেয়। ভুটানের বিপক্ষে ড্র করলেই চলত জামাল ভূঁইয়াদের। এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হারলেও লক্ষ্য পূরণ হতো।
প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও ভুটানেরও সেমির সম্ভাবনা জিইয়ে ছিল। তবে সে ক্ষেত্রে বড় ব্যবধানে হারাতো হতো বাংলাদেশকে। ম্যাচের শুরুতে তারা এগিয়েও যায়। কিন্তু সেই গোলটা যেন মৌচাকে ঢিল ছোঁড়ার মতো হয়ে এলো দলটির জন্য।
শেখ মোরসালিন এবং রাকিব হোসেন দারুণ দুই গোল করেন দ্রুতই। মাঝে বাংলাদেশ আরও একটি পায় আত্মঘাতী থেকে। সুবাদে বাংলাদেশ ৩৬ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচে এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। পরে সেই ব্যবধান ধরে রেখেই বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়ার্ধ শেষেও স্কোর লাইন একই থাকে এবং বাংলাদেশ চলে যায় স্বপ্নের সেমিফাইনালে।
এদিন একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চোটে পড়া তারিক কাজীর জায়গায় একাদশে আসেন রহমত মিয়া। আর ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের বদলে মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল করা শেখ মোরসালিন আসেন শুরুর একাদশে।
৭২তম মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন মোরসালিন। এই সময়ে দারুণ প্রভাব রাখা ফুটবলে ভূমিকা রাখেন ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার। মোরসালিনের বদলে পরে মাঠে নেমেছিলেন আমিনুর রহমান সজীব। এর আগে প্রথমার্ধের পরই মোহাম্মদ সোহেল রানার বদলে মাঠে আসেন মজিবর রহমান জনি এবং রাকিবের জায়গায় আসেন রফিকুল ইসলাম। ৮৫তম মিনিটে আরেক সোহেল রানার পরিবর্তে রবিউল হাসান মাঠে নামেন। ৯১তম মিনিটে শেষ বদলি হিসেবে ইসা ফয়সালের জায়গায় আসেন আলমগীর মোল্লা।
প্রথমার্ধে শুরুতে এগিয়ে গেলেও কোনঠাসা ছিল ভুটান। তবে বল পজিশনে এগিয়ে ছিল তারাই। ৫৯ শতাংশ বল নিজেদের দখলে ছিল তাদের। তবে বাংলাদেশ প্রথমার্ধে পোস্টে শট নিয়েছে ৭টি, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে।
ভুটান সেখানে চারটি শট নিয়ে দুটি পোস্টে রাখতে পেরেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ আর সেভাবে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ভুটান অবশ্য চেষ্টা করে গেছে। তাই ম্যাচ শেষে পোস্টে তাদের শটের সংখ্যাটা ১২। অবশ্য কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা আর পায়নি তারা।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :