ঢাকা: নিজেদের মাঠে শক্তিশালী বাংলাদেশ। পরাশক্তিরা পর্যন্ত বাংলাদেশে এসে নাকানি-চুবানি খায়। অথচ অপেক্ষাকৃত কম শক্তির আফগানিস্তান বাংলাদেশে এসে যা করল তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এক কথায় বাঘের ঢেরায় এসে দাপট দেখাল রশিদ-নবীরা।
সিরিজ জিততে আফগানিস্তানকে অপেক্ষায় রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তার আউটেই শেষ হলো সে অপেক্ষা। ৬৯ রান করে ফজলহক ফারুকির শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। বোলিংয়ের সময় চোট পেয়ে উঠে যাওয়া ইবাদত হোসেন নামবেন না বলে ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে সেখানেই।
বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৮৯ রানেই। ১৪২ রানের হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের রানের হিসাবে এটি সবচেয়ে বড় হার। আফগানদের কাছে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ।
৯ বছর পর প্রথমবার এক বছরে দেশের মাটিতে একাধিক ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে হেরেছিল তারা।
সিরিজে সমতা ফেরাতে রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশকে। সেটির ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা। রান তাড়ায় আদতে কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি, ম্যাচটি জিততে পারে বাংলাদেশ। ৯ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারানোর চাপ থেকে বেরোতে পারেনি আর তারা। সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের পর মুশফিকের সঙ্গে মিরাজের জুটি আফগানিস্তানের জয় একটু বিলম্বিতই করতে পেরেছে শুধু।
টসে জিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তবে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরি, ২৫৬ রানের রেকর্ড জুটিতে আফগানিস্তান তোলে ৩৩১ রান। সেটিও শেষ দিকের নাটকীয় ধস পেরিয়ে। তবে বোলাররা শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়ালেও ব্যাটসম্যানরা লড়াই করতে পারেননি।
চট্টগ্রামে আজ তাই শুধু টসটিই জিতেছে স্বাগতিকেরা।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :