যতই ভাবি আগ্রাসী রূপ দেখাব না, তাও চলে আসে: শরিফুল 

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৩, ১১:৩২ এএম
যতই ভাবি আগ্রাসী রূপ দেখাব না, তাও চলে আসে: শরিফুল 

ঢাকা: আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে প্রথমবার সুযোগ পেলেন শরিফুল ইসলাম। প্রথমবারেই বাজিমাত। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্রেফ ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই বাংলাদেশের জয়ের নায়ক।

নতুন বলে শুরুর স্পেলের ৫ ওভারে স্রেফ ৮ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। একেকটি উইকেটের পর বুনো উচ্ছ্বাসে মাতেন তিনি। রহমত শাহকে কট বিহাইন্ড করে তো অনেকটা দৌড়ে নিজেদের ডাগআউটের কাছাকাছিই চলে যান! 

আগের ম্যাচে ঝড়ো সেঞ্চুরি করা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে দারুণ একটি বাউন্সার করে কাছাকাছি গিয়ে কিছু একটা বলতেও দেখা যায় তাকে। ওই প্রথম স্পেলে তার ২৮ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেনি আফগানিস্তান।  

দারুণ এই বোলিংয়ের তেজ ফুটে ওঠে তার শরীরী ভাষায়ও। শরিফুলের এই আগ্রাসী রূপ দেখা গেছে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে একেকটি উইকেটের পর তার উল্লাস ছিল দেখার মতো।  

বয়সভিত্তিক পর্যায় পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আগ্রাসনের দিক থেকে বদল আসেনি শরিফুলের। আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানোর পর বললেন, তিনি নিজে না চাইলেও হয়ে যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলে আসে তার শরীরী ভাষায় বারুদ। 

“আসলে ওরকম জেদ ছিল না। অনুশীলনে যেমন বল করার চেষ্টা করি, তেমন ম্যাচেও করার চেষ্টা করছিলাম। আর শরীরী ভাষা অটোমেটিক চলে আসে। যতই ভাবি যে, ‘না এমন করা যাবে না।’ তাও চলে আসে।” 

তবে এই আগ্রাসী মনোভাব দেখানোর সুযোগ খুব একটা পান না শরিফুল। কখনও চোট, আবার কখনও কম্বিনেশনের কারণে প্রায়ই মূল একাদশে জায়গা হয় না ২২ বছর বয়সী পেসারের। পেসারদের চলমান আধিপত্যের মাঝে একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাওয়াও চ্যালেঞ্জিং। 

“আমরা যে ৫ জন পেসার আছি, পরিবারের মতো। সবার ওপরই কোচের বিশ্বাস আছে। এখান থেকে সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাচ্ছে। যাতে সবাই খেলার মধ্যে থাকে, যে কোনো সময় প্রস্তুত থাকে সুযোগ এলে ভাল করার জন্য।” 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটির আগে টানা তিন ওয়ানডেতে একাদশের বাইরে ছিলেন শরিফুল। তবে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা পেসার অনুশীলন থেকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। আর এটি করার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ যত্ন পান চান্দিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকেও। 

“হাথু স্যার (হাথুরুসিংহে) বিশেষভাবে আমাকে নিয়ে বাড়তি কাজ করেছেন। আমি যখন বাসায় ছিলাম, তখন তিনি বোলিংয়ের অনেক ড্রিলের ভিডিও দিয়েছিলেন। আমি ওভাবেই করছিলাম। অনুশীলনে কাজ করতে করতে আজকে ম্যাচে প্রয়োগ করেছি। কাজ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।” 

সোনালীনিউজ/এআর

Link copied!