ঢাকা: জাতীয় দল বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেছে আজ সকাল সাড়ে ৯টায়। অন্য কোনো সময় হলে বিমানবন্দরে সাজ সাজ রব পড়ে যেতো।
নিরাপত্তা কর্মী ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বাড়তি কর্ম ব্যস্ততা, মিডিয়ার উৎসুক উপস্থিতি বিরাজ করতো। শুধু তাই নয়, বাইরে শত শত ভক্ত ও সমর্থক ফুলের তোড়া, মালা নিয়ে উন্মুখ অপেক্ষার প্রহর গুনতো।
কিন্তু হায়! রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসবের কিছুই ছিল না। এতটুকু হইচই ছিল না। বিমান বন্দরে বোঝাই যায়নি যে টিম বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরে এসেছে।
আর আট-দশদিনের মতো, রোববার সকালেও তেমন নীরবে-নিভৃতে বিশ্বকাপ খেলে অনেকটা গোপনেই দেশে ফিরলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
বিশ্বকাপ যাত্রার আগে আশার বাণী শুনিয়ে গেলেও টানা ৬ ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেস্তে গেছে সাকিবদের। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে গিয়ে অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর শেষ ম্যাচে আবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানের হার।
সব মিলিয়ে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে কী পেল বাংলাদেশ? অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেদারল্যান্ডসের কাছে হারার পরই বলে দিয়েছিলেন, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ। এরপর শ্রীলঙ্কাকে হারালেও সাকিবের সেই কথা বদলানোর মতো কিছু ঘটেনি।
খেলার দিক থেকে প্রাপ্তি বলতে তেমন কিছু নেই। তাহলে খেলার বাইরে কতটা লাভবান হলো বাংলাদেশ দল, বিশেষ করে অর্থ পুরস্কারের দিক থেকে? এবারের টুর্নামেন্টে প্রথম পর্ব শেষে দলগুলোর মধ্যে অর্থ বণ্টনের হিসাবটা এ রকম-প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাবে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। আর প্রথম পর্বে খেলার জন্য সব মিলিয়ে পাবে এক লাখ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ প্রথম পর্বে ম্যাচ জিতেছে ২টি-একটি আফগানিস্তান, অন্যটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই দুই জয়ের জন্য ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার ডলার পাবে বাংলাদেশ দল। এর সঙ্গে প্রথম পর্বে অংশ নেওয়ার জন্য বাড়তি এক লাখ ডলার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ পাচ্ছে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশি মুদ্রায় বাংলাদেশ দল এবারের বিশ্বকাপ থেকে পাচ্ছে প্রায় ২ কোটি টাকা (১ কোটি ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা)।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :