ঢাকা: বিশ্বকাপের ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ভারত। কারণ ফাইনালে যেতে নিউজিল্যান্ডকে অসম্ভব এক টার্গেট দিল স্বাগতিকরা। ভারত ৫০ ওভারে তুলেছে রেকর্ড ৩৯৭ রান।
টস থেকে শুরু করে প্রথম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত-ওয়াংখেড়েতে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের পক্ষে গেছে সবকিছুই। রোহিত শর্মা শুরুটা করেছিলেন। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বেও ভারত অধিনায়ক দেখিয়েছেন, আসলেই ভয়ডরহীন ব্যাটিং করতে চায় তার দল। তিনি ফেরার পর সে ব্যাটন নিয়েছেন শুবমান গিল। তিনি সেঞ্চুরির দেখা পাননি, চোট নিয়ে উঠে যেতে হয়েছিল বলে। কোহলি পেয়েছেন, এরপর সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রেয়াসও।
ওয়াংখেড়ের এ উইকেটে নিউজিল্যান্ড বোলাররা লাইন, লেংথ-খুঁজে পাননি কিছুই। ভারত গড়েছে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসে রেকর্ড স্কোর। টানা তৃতীয় ফাইনালে যেতে নিউজিল্যান্ডকে এখন ভাঙতে হবে ওয়ানডেতে তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। এখন পর্যন্ত সেটি ৩৪৮ রানের, ২০২০ সালে ভারতের বিপক্ষেই ছিল সেটি।
এবার অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ৩৮৩ পর্যন্ত গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আজ করতে হবে তার চেয়েও বেশি। এবং সেটি বিশ্বকাপের সেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড জানে, এমন রান তাড়ায় শুরু থেকে সব কিছুই পক্ষে আসতে হবে তাদের, যেমন এসেছে ভারতের!
দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল মিলে ৮.২ ওভারে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। এমনভাবে ব্যাটিং করছিলেন তারা, যেন এটি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে সমান চারটি করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
রোহিত আউট হলেও ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি। ১৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তারা তুলে ফেলে ১১৮ রান। ২৩তম ওভারে দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন গিল।
গিল মাঠ ছাড়ার পর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপদ যেন আরও বাড়ে। আয়ার আরও বেশি মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৫ বলেই ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলি দেখেশুনে খেলে ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ছাড়িয়ে যান স্বদেশি কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। ওয়ানডে ইতিহাসে ৫০টি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটার হন কোহলি।
তৃতীয় উইকেটে ১২৮ বলে ১৬৩ রান যোগ করেন কোহলি আর আয়ার। অবশেষে টিম সাউদি ভাঙেন এই জুটি। ১১৩ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি।
এরপর সেঞ্চুরি হাঁকান মারমুখী আয়ারও। ৬৭ বলে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ট্রেন্ট বোল্ডের শিকার হন আয়ার। ৭০ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে তিনি হাঁকান ৮টি ছক্কা! শেষ দিকে কেএল রাহুল খেলেন ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :