ঢাকা: ইয়ানসেনের শর্ট বলে কাট করে চার কামিন্সের। ৩ উইকেটে জিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, ১৯ নভেম্বর সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। প্রোটিয়াদের মাত্র ২১২ রানে অলআউট করেও কে ভেবেছিল এই ম্যাচ জিততে এতটা বেগ পেতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়ছিল অজি ব্যাটাররা কিন্তু শেষ পর্যন্ত জশ ইংলিসের দৃঢ়তায় ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়াদের হারালো ৩ উইকেটের ব্যবধানে।
ইডেন গার্ডেনসে ২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটিতেই ৬০ রান তোলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। মাত্র ৬ ওভারেই তারা ৬০ রানের জুটি গড়েন। তাদের উড়ন্ত সূচনায় ফাটল ধরান পার্টটাইম বোলার মার্করাম। ১৮ বলে ২৯ রান করা মারকুটে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে বোল্ড করেন এই ডান হাতি অফ স্পিনার। তিনে নেমে কোনো রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো মিচেল মার্শ। রাবাদার বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন ভ্যান ডার ডুসেন।
৬১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপদে পড়ে অজিরা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৫ রানের জুটি গড়েন স্মিথ ও হেড। এক প্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নেন হেড। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি এই বাহাতি ব্যাটার। কেশব মাহারাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ৬২ রানে বোল্ড হন হেড। ১৪ ওভারে একশো পেরোয় অজিরা। লাবুশেনকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেয়নি প্রোটিয়ারা। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শামসি।
অজিদের ব্যাটিং ইনিংসে সবচেয়ে বড় আঘাতটা আসে ম্যাক্সওয়েলের আউটের মাধ্যমে। মাত্র ১ রান করেই শামসির বলে বোল্ড হন আফগানদের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতানো ম্যাক্সওয়েল। এরপর স্টিভ স্মিথ ৬২ বলে ৩০ রান করে আউট হলে ১৭৪ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচ ঝুঁকে পড়ে প্রোটিয়াদের দিকে। তখনও ক্রিজে ছিলেন ইংলিস। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
তবে কোয়েটজের দুর্দান্ত এক ইয়োর্কারে বোল্ড হন এই ব্যাটার। অজিরা তখন জয় থেকে মাত্র ২০ রান দূরে। উত্তেজনার বারুদ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ইডেন গার্ডেনস থেকে পুরো বিশ্বে।
তবে শেষ দিকে আর অঘটন ঘটতে দেননি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। প্রোটিয়াদের হয়ে শামসি ও কোয়েটজে দুটি করে উইকেট পান। রাবাদা, মারকরাম ও মাহারাজ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ডেভিড মিলারের লড়াকু সেঞ্চুরির পরও পুঁজিটা বড় হয়নি প্রোটিয়াদের। ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানেই থেমে গেছে টেম্বা বাভুমার দল। অর্থাৎ ফাইনালে উঠতে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ২১৩।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :