ঢাকা: সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন লেও বাপতিস্তাও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে রবের্তোর গোলে দ্বিতীয়বার স্বাগতিকরা এগিয়ে গেলে ফের সমতা টানেন এদগার গনসালেস। পরে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান গড়ে দেন স্প্যানিশ ফুটবলার রবের্তো।
বার্সেলোনা তার ‘বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার’ চিরচেনা কৌশলে শুরু থেকে এগোতে থাকে। আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রেখে ৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। রোনালদ আরাউহোর হেড গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, আলগা বল সহজেই খুব কাছ থেকে জালে পাঠান রাফিনিয়া।
দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। তবে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে পোলিশ তারকার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
৪১তম মিনিটে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় আলমেরিয়া। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে সতীর্থের রক্ষণচেরা পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বাপতিস্তাও। অফসাইডের বাঁশি বাজলেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইরকম চাপ ধরে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। ৬০তম মিনিটে রবের্তোর নৈপুণ্যে আবার এগিয়ে যায় তারা। রাফিনিয়ার কর্নারে দুরূহ কোণ থেকে দারুণ হেডে গোলটি করেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
অবশ্য এই যাত্রায়ও বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি তারা। ৭১তম মিনিটে ডান দিকের সাইডলাইন থেকে লম্বা করে ফ্রি কিক নেন আরিবাস, ডি-বক্সে জটলার মধ্যে লাফিয়ে বল হাতে নিতে গিয়ে পারেননি গোলরক্ষক ইনাকি পেনা। আলগা বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার গনসালেস।
৮৩তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে জয়সূচক গোলটি করেন রবের্তো। লেভানদোভস্কির ক্রসে বল ঊরু দিয়ে নামিয়ে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
১৮ ম্যাচে ১১ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। তাদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে এক ম্যাচ কম খেলা রেয়াল মাদ্রিদ।
রিয়ালের সমান ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জিরোনা।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :