ঢাকা: বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে চাইছেন ক্রিকেট ভক্তরা। এটি বহু আগেরই আলোচনা। তবে সেই আলোচনা এতদিন গুঞ্জনে সীমাবদ্ধ থাকলেও অবশেষে বাস্তবের মুখও দেখতে পারে এই সম্ভাবনা।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নতুন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হওয়ায় এই দাবি আরও জোরালো হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শপথও নিয়েছেন পাপন। অনেকরই ধারণা পাপন মন্ত্রী হওয়ায় বিসিবি সভাপতি পদে এবার পরিবর্তন আসবে। কিন্তু বিসিবি গঠনতন্ত্র বলছে ভিন্ন কথা।
যদিওবা পরিবর্তন হয় মাশরাফির সুযোগ কতোটুকু? গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবির কাউন্সিলর থেকে পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ার পরই সভাপতি হওয়ার সুযোগ থাকে। এখনো ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া মাশরাফি কাউন্সিল কিংবা পরিচালক কিছুই নন। বিসিবির কাছে মাশরাফি এখনো অন্য একজনের মতো সাধারণ ক্রিকেটারই।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন সুজন বলেন, ‘বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে নির্বাচিত সভাপতি হতে হয়। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হওয়ায় আইসিসির গাইড অনুযায়ী আমাদের গঠনতন্ত্র তৈরি করা। যেখানে বিসিবির প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে যেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট হোক, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথমে কাউন্সিলর হতে হবে। পরবর্তীতে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হতে হবে।’
‘পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা তখন বোর্ড সভাপতি নির্বাচন করবেন। যেহেতু আমাদের আগের যে একটা প্রক্রিয়া ছিল যে সরকার থেকে মনোনীত একজন ব্যক্তি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হবেন সেই বিষয়টা এখন আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই। এই বিষয়টা এখন আর প্রযোজ্য নয়। একটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বোর্ড সভাপতি হতে পারবে, যদি পজিশনটা খালি হয়।’
মাশরাফিকে এই পদে আসতে হলে প্রথমে কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে প্রবেশ করতে হবে। এরপর পরিচালক পদে নির্বাচিত হতে। পরিচালক হওয়ার পরই আসবে বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ। এদিকে পাপনের মেয়াদ আছে দেড় বছরের বেশি। তিনি যদি মন্ত্রীত্ব এবং বিসিবি প্রধানের কাজ একসঙ্গে সামলান তাহলে পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
যদি সরেও যান তাহলে বর্তমান পরিচালক পদে থাকা কেউ বসবেন সভাপতির আসনে। এর আগেও মন্ত্রী থেকে বিসিবি প্রধানের পদ সামলানোর নজির রয়েছে দেশের ক্রিকেটে। এখন দেখার বিষয় কিভাবে দায়িত্ব সামলান পাপন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :