ঢাকা: বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসকে উড়িয়ে দিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ছয় উইকেটের বড় জয়ে তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল দলটি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লাসিথ ক্রুসপুল্লের ৪৬ রানের সৌজন্যে আট উইকেটে ১৩৬ রান করে ঢাকা। জবাবে তানজিদ হাসান এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের দারুণ দুটি ইনিংসে এই লক্ষ্য তাড়া করে চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে আভিশকা ফার্নান্দো। শরিফুল ইসলামের বলে টানা তিনটি চার মেরে শুরু করে তারা। যদিও সেই ওভারেই ছয় বলে ১২ রান করা আভিশকাকে ফেরান শরিফুল। তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল।
নিজের পরের ওভারে একইভাবে ইমরানউজ্জামানকেও (১) ফেরান শরিফুল। ২৮ রানে দুই উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে পথ দেখা তানজিদ হাসান এওং শাহাদাত হোসেন দিপু। দুজন মিলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি।
এই জুটি ভাঙেন উসমান কাদির। ৩১ বলে ২২ রান করা দিপু ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চতুরঙ্গা ডি সিলভাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। চট্টগ্রামের সংগ্রহ একশ পার হতেই ফিরে যান তানজিদ। ৪০ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৯ রান করে তাসকিনের বলে ডিপ কভারে অ্যালেক্স রসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
১০৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তারপর নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে সহজেই জয় পায় চট্টগ্রাম। ১৯ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন নাজিবুল্লাহ। ১১ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। ১৮.২ ওভারে জিতে যায় চট্টগ্রাম।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুটা মনমতো করতে পারেনি ঢাকা। দ্বিতীয় ওভারেই মাঠ ছাড়তে হয় দলটির লঙ্কান রিক্রুট দানুশকা গুনাথিলাকাকে। আল আমিন হোসেনের বলে মুখের থুতনিতে ব্যথা পেয়ে ফিজিওর চিকিৎসা নিয়ে মাঠ ছাড়েন গুনাথিলাকা। একটু পর গুনাথিলাকার কনকাশন সাব হিসেবে লাসিথ ক্রুসপুল্লের নাম প্রকাশ করে ঢাকা।
উইকেটে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাইফ হাসান। ৯ বলে ৯ রান করে আল আমিনের শিকার হয়েই ফিরে যান তিনি। ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে নাজিবুল্লাহ জাদরানের তালুবন্দি হন তিনি। পঞ্চম ওভারে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।
শুভাগত হোমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে নিহাদুজ্জামানের তালুবন্দি হন মোসাদ্দেক। ঢাকার অধিনায়কের ব্যাটে কোনো রান আসেনি।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় ঢাকা। নিহাদুজ্জামানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কভার পয়েন্টে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাইম শেখ। ১১ বলে ৮ রান আসে ঢাকার ওপেনারের ব্যাটে। একই ওভারের পঞ্চম বলে ফিরে যান অ্যালেক্স রস। দুটি চারে এই অস্ট্রেলিয়ানের ব্যাটে আসে ৯ বলে ১১ রান।
৩৩ রানে চার উইকেট হারানোর পর ক্রুসপুল্লে এবং ইরফান শক্কুরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। এই দুজন দলের রানের খাতায় যোগ করেন ৭৩ রান। তবে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি ক্রুসপুল্লে। ৩১ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৬ রান করে কার্টিস ক্যাম্ফারের শিকার হয়ে বিদায় নেন তিনি।
১৮তম ওভারে ফিরে যান ইরফানও। ২৬ বলে ২৭ রান করে বিলাল খানের বলে বোল্ড হন তিনি। শেষদিকে তাসকিন আহমেদের ৯ বলে ১৫ রানের ইনিংসে কিছুটা লড়াই করার মতো পুঁজি পায় ঢাকা। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আল আমিন এবং বিলাল। একটি করে উইকেট নেন শুভাগত, নিহাদুজ্জামান এবং ক্যাম্ফার।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :