ঢাকা : দুই দলের আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের সবশেষ সাফল্যে পড়েছিল সময়ের ধুলো। ২০১৩ সালের শিরোপা জয়ী নাইজেরিয়া শুরুতে এগিয়ে গিয়ে আশা জাগাল। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন কোত দি ভোয়া। শেষ পর্যন্ত ‘দা এলিফ্যান্ট’রাই পেল আফ্রিকান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।
কোত দি ভোয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববার রাতের ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। উইলিয়াম ট্রোস্ট-ইকং নাইজেরিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফঁক কেসিয়ের গোলে সমতায় ফেরে কোত দি ভোয়া। পরে জয়সূচক গোলটি করেন সেবাস্তিয়ান হলার।
১৯৯২ সালে প্রথম এই শিরোপা জয়ের পর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়টির স্বাদ পেয়েছিল কোত দি ভোয়া। ৯ বছর পর মুকুট ফিরে পেল তারা। তিনবারের বিজয়ী নাইজেরিয়ার অপেক্ষা বাড়ল আরও।
প্রথমার্ধে ৯ শটের তিনটি লক্ষ্যে রেখে গোলের দেখা পায়নি কোত দি ভোয়া। অন্যদিকে দুই আক্রমণের একটি পোস্টে রেখেই কাঙ্খিত গোল তুলে নেয় নাইজেরিয়া। সেটিও প্রথমার্ধের শেষ দিকে।
৩৮তম মিনিটে কর্নার থেকে অনেকটা লাফিয়ে উঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ট্রোস্ট-ইকং। গোলরক্ষক লাফিয়ে উঠলেও বলের নাগাল পাননি। ক্যামেরায় ভেসে ওঠে কোত দি ভোয়ার সাবেক তারকা দিদিয়ের দ্রগবার মুখ; ২০০৬ ও ২০১২ সালের ফাইনালে যিনি দলকে পথ দেখাতে পারেননি।
৬২তম মিনিটে ফের ক্যামেরায় ভেসে ওঠে দ্রগবার মুখ। এবার অবশ্য উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভঙ্গিতে। কর্নারে ফক কেসিয়ের হেড ড্রপ খেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে খুঁজে নেয় জাল। সমতার স্বস্তি ফেরে কোত দি ভোয়া শিবিরে।
৭৫তম মিনিটে সতীর্থের হেড পাসে হলারের ওভারহেড কিক যায় পোস্টের বাইরে। ছয় মিনিট পর এই ফরোয়ার্ডই গোলমুখে সতীর্থের বাড়ানো আড়াআড়ি ক্রস থেকে এগিয়ে নেন কোত দি ভোয়াকে।
শেষ দিকে নাইজেরিয়ার কেলেচি ইহেনাচোর শট রক্ষণে আটকে যায়। আট মিনিটের যোগ করা সময়েও ‘সুপার ইগলস’ খ্যাত দলটি পায়নি সমতায় ফেরা গোলের দেখা। শেষের বাঁশি বাজতেই শুরু হয় গ্যালারিতে কোত দি ভোয়া সমর্থকদের বাঁধনহারা উৎসব।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :