ঢাকা: শুরু থেকেই চাপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় বিপদ কাটিয়ে ওঠে সফরকারীরা। ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দুইশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
তবে লিয়ানাগের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে মেন্ডিসের দল। নির্ধারিত ওভারে সবকটি উইকেটে হারিয়ে লঙ্কানরা করেছে ২৩৫ রান। ছোট এ পুঁজি অবশ্য বাংলাদেশের জন্য কঠিন কোনো রান নয়। লঙ্কানরা বোলাররা অস্বাভাবিক কিছু না করলে সিরিজটা বাংলাদেশেরই হতে যাচ্ছে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ম্যাচে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান লিয়ানাগে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন লিয়ানাগে। ৬৫ বলে ফিফটি করা মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান পরের পঞ্চাশ রান করতে খেলেন স্রেফ ৩৬ বল।
দলের আর কেউ ৪০ রানও করতে পারেননি। টস জিতে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানরা শুরুতেই পড়ে তাসকিন আহমেদের তোপে। নিজের প্রথম দুই ওভারে ২ ওপেনারকে ফেরান তাসকিন। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় সফরকারীরা।
পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন লিয়ানাগে ও চারিথ আসালাঙ্কা। ৩৭ রান করা আসালাঙ্কা ফিরলে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি।
এরপর মাহিশ থিকশানাকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিয়ানাগে। এর সৌজন্যে দুইশ পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। পরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে আড়াইশর কাছে নিয়ে যান ২৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন। মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ ধরেন ২টি করে শিকার।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :