ঢাকা: শেষ ওভারে নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। তাসকিন আহমেদ দিলেন ৭ রান। ২৫ রানের জয়ে সুপার এইটের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই দুই ম্যাচের দিকে আলাদা করে নজর ছিল বাংলাদেশ দলের। সেটির প্রথমটি এই নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং ফর্মটা খুঁজে পেলেন সাকিব। রান তাড়ায় মাঝে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল নেদারল্যান্ডস।
ফেবারিটই ছিল তারা। প্রথম ২ ওভারে ১৯ রান দেওয়া রিশাদকে এরপর তৃতীয় ওভারে আনেন নাজমুল। তাতে জোড়া আঘাতে কার্যত ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন রিশাদ। এরপর বাংলাদেশ পেসারদের সামলাতে পারেননি ডাচ ব্যাটিংয়ের টেল-এন্ডাররা।
৩ ম্যাচে ২ জয় বাংলাদেশের। আগামী ১৭ জুন সকালে নেপালকে হারালে নিশ্চিত হবে সুপার এইট। সে ম্যাচে হারলেও থাকবে সম্ভাবনা।
কিংসটনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন সাকিব। তাছাড়া ৩৫ রান এসেছে তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে।
তবে ডাচদের ব্যাটিংয়ের একটা পর্যায়ে দারুণ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিপদের সময় ট্রাম্পকার্ড বের করলেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। ১৫তম ওভারে দুই উইকেট শিকার করে ম্যাচের চেহারা বদলে দিলেন তিনি। অবশেষে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে সুপার এইটের পথ উজ্জ্বল করলো বাংলাদেশ।
শুরুতে নেদারল্যান্ডস শিবিরে আঘাত করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাইকেল লিভিটের উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। দেখেশুনে খেলে এগোতে থাকা এই ডাচ ব্যাটারকে ১৮ রানের (১৬ বলে) মাথায় তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান তিনি।
পরের ওভারে বোলিংয়ে এসেই ডাচ শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। ডানহাতি এই পেসারকে ফলোথ্রু করে সাজঘরের পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাইউ (১৬ বলে ১২)। দলীয় ৩২ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।
১৪ ওভারের খেলা শেষে নেদারল্যান্ডসের বোর্ডে ১০৪ রান। নৈপথ্যে চতুর্থ উইকেটে ৪২ রানের ঝড়ো জুটি। এই জুটির কারণে দারুণ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশকে। অবশেষে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিলেন রিশাদ।
১৫তম ওভারে দুুটি উইকেট তুলে নিলেন তিনি। চতুর্থ বলে ৩১ বলে ৪২ রানের জুটি ভাঙেন। ২২ বলে ৩২ রান করা সাইব্রান্ড এনগেলব্রখটকে তানজিম সাকিবের ক্যাচ বানান তিনি। রিশাদের ওভারের শেষ বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পড আউট হন ডি লিডে।
মোস্তাফিজের করা ১৭তম ওভারে ১ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকারও বাংলাদেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্কট এডওয়ার্ডসকে (২৩ বলে ২৫) জাকির আলির ক্যাচ বানান তিনি।
ব্যাক-টু-ব্যাক বোলিংয়ে এসেই আবারও রিশাদের উইকেট শিকার। লোগান ফন বিক (৩ বলে ২) রিশাদের হাতেই ক্যাচ হন। সর্বশেষ টিম প্রিংলেকে ফেরান তাসকিন। এতে ২০ ওভারে ডাচরা তুলতে পারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :